চন্দননগর: চন্দননগর মানেই জগদ্ধাত্রী পুজো৷ আলোর রোশনাইয়ে সেজে ওঠা শহরের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা অনেক আবেগ৷ কিন্তু সেই উৎসবের জোয়ারেও এবার করোনার কাঁটা৷ রবিবার দশমীতে হল না কোনও প্রশেসন বা শোভাযাত্রা৷ বরং সকাল থেকে ছিমছাম ভাবেই হল প্রতিমা নিরঞ্জন৷ তবে এবার ভাসান হবে দু’দিন ধরে রবি ও সোম৷ বারোয়ারি ধরে দিন ভাগ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি৷ কিন্তু তাতেও সামলানো গেল না ভিড়৷
আরও পড়ুন- ডিউটি শেষে সময়টুকু শুধু ওদের, সমাজ সেবাই নেশা এই সিভিক ভলন্টিয়ারের
এবার বিজয়ায় কোনও জাঁকজমক বা আলোর বাহার ছিল না ঠিকই৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও মানা গেল না করোনা বিধি৷ গঙ্গার ঘাটে উপচে পড়ল মানুষের ভিড়৷ স্ট্রান্ড রোডে দেখা গেল জন সমুদ্র৷ যেখানে চন্দননগরের ১৫টি ওয়ার্ড কনটেনমেন্ট জোন, সেখানে বিসর্জন ঘিরে সেনা উন্মাদনা নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে প্রশাসনের৷ যে ভাবে গা ঘেঁষাঘেষি করে গঙ্গার ঘাটে মানুষ বিসর্জন দেখলেন, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা৷
যথা সম্ভব কম মানুষ নিয়ে বিসর্জন করার আশ্বাস দিয়েছিলেন চন্দননগর কমিশনারেটের কর্তারা৷ কিন্তু তা একেবারেই সম্ভব হয়নি৷ বরং পুলিশ প্রশাসনের সামনেই ভাঙল বিধি৷ বিসর্জনের জন্য প্রটিটি বারোয়ারিতে সর্বোচ্চ ৭ জনের সংখ্যা বেধে দেওয়া হয়েছিল৷ বলা হয়েছিল এই সাত জনেরই করোনার ডবল ডোজ থাকতে হবে৷ কিন্তু প্রতিটি বারোয়ারি থেকেই দলে দলে কর্মকর্তারা যোগ দিলেন প্রতিমা নিরঞ্জনে৷ সেই সঙ্গে গানের সঙ্গে দেখা গেল উদ্দাম নাচ৷ ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি চালিয়েও মানা গেল না করোনা বিধি৷
চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে মোট কেন্দ্রীয় কমিটির আওতায় ১৭১টি পুজো রয়েছে৷ দুই শহরে গঙ্গার মোট ১৮টি ঘাটে রবিবার ৮০টি এবং আজ, সোমবার বাকি প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে৷ তবে অধিকাংশ বিসর্জনই হয় চন্দননগরের রানিঘাটে৷ বিসর্জন ঘিরে আটোসাঁটো পুলিশ নিরাপত্তা থাকলেও প্রতিটি লরির সঙ্গে নাচতে নাচতে গিয়েছে প্রচুর মানুষ৷ আলো ছাড়াই শুধু বিসর্জন দেখতে উপচে পড়েছে মানুষের ঢল৷ মেঘলা আকাশই মানুষের পায়ে বেড়ি পড়াতে পারেনি৷