কলকাতা: ১৪ সেপ্টেম্বরের মামলার শুনানিতে হাওড়া পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়, হাওড়া বালটিকুরি মুক্তারাম দে উচ্চ বিদ্যালয়ের টিচার ইনচার্জ দিব্যেন্দু মুখার্জীকে ১৬ সেপ্টেম্বর বেলা ২ টোয় কলকাতা হাইকোর্টে হাজির করতে হবে। সেই মত বৃহস্পতিবার ওই স্কুলের আসিস্টেন টিচারকে হাজির করে পুলিশ। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে অবসর গ্রহণ করেন ওই বিদ্যালয়ের অশিক্ষক কর্মী শান্তনু ঘোষ। নিয়ম অনুযায়ী অবসরগ্রহণের দিনের আগেই পেনশন সংক্রান্ত সমস্ত হিসেব-নিকেশ সম্পন্ন করতে হয় স্কুল কর্তৃপক্ষকে। এক মাস পর থেকেই শুরু হয় অবসরকালীন পেনশন।
আরও পড়ুন- দুয়ারে রেশন: সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্চ করে প্রধান বিচারপতির এজলাসে ডিলাররা
তবে এদিন হাওড়া পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকে আদালতে হাজির হন টিচার ইনচার্জ। আদালতে তিনি জানান, তাঁর বিদ্যালয়ে ১১ বছর ধরে কোন প্রধান শিক্ষক নেই। সম্প্রতি শান্তন বাবুর অবসরের পর কোন অশিক্ষক কর্মী নেই। তাই কাজে বিলম্ব হচ্ছে। বিচারপতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি পদে রিপোর্ট তলব করেন। আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে জমা দিতে হবে। পেনশন কতৃপক্ষকেও রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এদিকে, ১১ বছর ধরে কোন প্রধান শিক্ষক নেই এই কথা শুনে বিষ্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে রিপোর্ট তলব বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের কোনো অশিক্ষক কর্মী নেই কেন সে বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে কলকাতা হাইকোর্টে। স্কুলের পরিচালন কমিটির কতবার এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে তারও উল্লেখ রাখতে হবে সেই রিপোর্টে, এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- অসম রাইফেলসে রিক্রুটমেন্ট ব়্যালি শুরু হতে চলেছে
এছাড়া জানান হয়েছে, বিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্মী শান্তনু ঘোষকে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তার সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে জেলা স্কুল পরিদর্শককে। পাশাপাশি প্রভিডেন্ট ফান্ড কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ তাদের কাছেও শান্তনুবাবুর যে বকেয়া পরে রয়েছে তা অবিলম্বে মিটিয়ে দিতে হবে নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। উল্লেখ্য, ২৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর ববি সারাফ অ্যাসিস্ট্যান্স টিচারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য। কিন্তু তাতে কোনও কাজ না হওয়ায়ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন মামলাকারি শান্তনু ঘোষ।