কলকাতা: রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারির প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ আপাতত বহালই থাকছে। বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর করা মামলায় বহাল এই অন্তর্বতী নির্দেশ। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারী জনস্বার্থ মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সেই দিনই মিলতে পারে পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্টের আভাস। ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে পিছিয়ে পড়া আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে হলফনামা দাখিল করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের অন্তর্বতী নির্দেশ আপাতত বহাল থাকায় পরবর্তী কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন- বাজেট: যুবসমাজের জন্য ‘ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড’, কর্মসংস্থান নিয়ে বড় ঘোষণা
পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন করার দাবিতে গত ডিসেম্বর মাসে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। হিংসার প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে এবং অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নজরদারিতে পঞ্চায়েত ভোট করানোর আর্জি জানিয়েছিলেন। সেই মামলার শুনানিতেই প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, মামলার পরবর্তী শুনানির আগে পর্যন্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তির দিন প্রকাশ করতে পারবে না।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”রাজ্যপালের ‘মেজাজ’ বদলে কতটা খুশি বিজেপি? Governor CV Ananda on upcoming Panchayat elections” width=”835″>
যদিও বিশেষজ্ঞদের একটি অংশের মতে, আপাতত যা অবস্থা তাতে ‘শীতে’ ভোট আর হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে এপ্রিল মাসে ভোট হলেও হতে পারে যদিও কোনও রকম আইনি জটিলতা না বাড়ে। অনুমান, ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির ফলাফলের ওপর অনেকটা নির্ভর করছে পঞ্চায়েত ভোট। ‘ফিডব্যাক’ যদিও ইতিবাচক হয় তাহলে আরও দ্রুত ভোট হয়ে যেতেই পারে। তবে তা মার্চ মাসে হওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ।