‘তুরস্কে বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়েই একসঙ্গে ছিলাম’ পাল্টা বিবৃতি নিখিলের

‘তুরস্কে বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়েই একসঙ্গে ছিলাম’ পাল্টা বিবৃতি নিখিলের

কলকাতা:  নিখিল জৈনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলার পর থেকেই উঠেছে বিতর্কের ঝড়৷ লোকসভায় দাঁড়িয়ে নুসরত ‘অসত্য’ বলেছেন বলে নথি উল্লেখ করে খোঁচা দিয়েছে বিজেপি৷ এবার বিবাহ বিতর্কে নুসরতকে জবাব দিলেন নিখিল জৈন৷ প্রকাশ্যে তাঁদের আইনি লড়াই৷

আরও পড়ুন- বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে গ্রেফতার সন্দেহভাজন চিনা নাগরিক, বাজেয়াপ্ত ল্যাপটপ-পাসপোর্ট

বৃহস্পতিবার আইনজীবী মারফত একটি বিবৃতি জারি করেছেন নিখিল৷ যেখানে নুসরতের একাধিক দাবি অসত্য বলে দাবি করা হয়েছে৷ নুসরতের পাল্টা বিবৃতিতে এদিন নিখিল  বলেন, ২০১৯ সালের জুন মাসে তুরস্কে গিয়ে নুসরতকে বিয়ে করেছিলাম৷ এর পর কলকাতায় ফিরে হয় রিসেপশন৷ বিয়ের পর সমাজে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়েই আমরা একসঙ্গে ছিলাম৷ কিন্তু অল্প দিনের মধ্যেই নুসরতের আচরণ বদলে গিয়েছিল৷ ২০২০-র অগাস্টে একটি ফিল্মের শ্যুটিংয়ের সময় থেকেই তাঁর আচরণ বদলাতে থাকে৷ নিখিল বলেন, কেন আমার প্রতি তাঁর এই আচরণ বদলে গেল তা বলতে পারবেন নুসরতই৷ 

নিখিলের স্বীকার করেছেন, এক সময় তিনি নুসরতকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন৷ এবং তাতে রাজি হন নুসরত৷ এর পরই তাঁদের বিয়ে হয়৷ তবে গত বছর অগাস্ট মাসের পর থেকেই নুসরতের ব্যবহারে বদল আসতে থাকে৷ নুসরত সম্পর্কে নানা খবর আসার পরেই নিজেকে প্রতারিত মনে হতে থাকে৷   

নুসরত দাবি করেছেন, তুরস্কে যে বিয়ে হয়েছিল তার আইনি বৈধতা নিয়ে৷ এ প্রসঙ্গে নিখিল বলেন, বারবার বলা সত্ত্বেও বিয়ের রেজিস্ট্রেশন এড়িয়ে গিয়েছিলেন নুসরত জাহান৷ নুসরত রেজিস্ট্রেশন অসম্মত হন৷ এর পর গত বছর ৫ নভেম্বর তিনি বালিগঞ্জে বাবার ফ্ল্যাটে চলে আসেন৷ নিখিল আরও বলেন, বুধবার নুসরত যে ভাবে বিবৃতি দিয়েছেন, তাতে পাল্টা বিবৃতি দিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি৷ 

প্রসঙ্গত, নুসরত তাঁর বিবৃতিতে বলেছিলেন তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অজ্ঞাতেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি তাঁর জিনিসপত্র আটকে রাখা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি৷ এদিন নিখিল বলেন, বিয়ের পর তাঁদের মাথায় একটি বড় অঙ্কের গৃহঋণ ছিল৷ যেটা নুসরত জাহানের তরফে পরিশোধ করার প্রয়োজন ছিল৷ সেই টাকাটাই তিনি অ্যাকাউন্ট থেকে তুলেছেন৷ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্যও তাঁর কাছে আছে৷  

গতকাল নুসরত বলেছিলেন, নিখিলের সঙ্গে লিভ ইন রিলেশনে ছিলেন তিনি৷ আইন অনুযায়ী এখনও বিয়ে হয়নি৷ দুটি ভিন্ন সম্প্দায়ের বিয়ের জন্য স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুযায়ী এই বিয়ের বৈধতার প্রয়োজন ছিল৷ তাও মেলেনি৷ ফলে বিবাহ বিচ্ছেদের প্রশ্নও নেই৷  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × four =