কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে তোলপাড় হয় গোটা রাজ্য৷ NHRC-র রিপোর্টের ভিত্তিতে ঘটনা ধরে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকা৷ কিন্তু এর থেকে এক ধাপ এগিয়ে থানা ভিত্তিক রিপোর্ট তলব করল নবান্ন৷ এরই মধ্যে হাইকোর্টের রায়ে কিছুটা স্বস্তিতে রাজ্য সরকার৷
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রাজ্যের হলফনামা তলব হাইকোর্টে, চাপে নবান্ন
যাদবপুরে মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় আইপিএস অফিসার রশিদ মিনির খানকে শোকজ করেছিল হাইকোর্ট৷ ওই শোকজের জবাব দেন তিনি৷ তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট৷ এবং আদালত জানায়, বিষয়টি এখন ‘ক্লোজ চ্যাপ্টার’৷
অন্যদিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র যতগুলি ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে, প্রত্যেকটি ঘটনার পাল্টা রিপোর্ট চাইলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। এই ‘ঘটনাগুলির’ তথ্য রাজ্যকে দেওয়ার আর্জি জানান তিনি। কিশোর দত্ত জানান, এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই আদালতে পাল্টা রিপোর্ট দেবে রাজ্য। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জানান, ধর্ষণের ঘটনার কোনও তথ্য কোনওভাবেই জনসমক্ষে আনা যাবে না।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তাদের রিপোর্টে ছত্রে ছত্রেনিশান করেছিল রাজ্য সরকারকে৷ এই রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় পুলিশ- প্রশাসনকে। কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসা রোধে তোনও দপক্ষেপ করেনি প্রশাসন৷ তাই এই রিপোর্টের জবাবে প্রতিটি ঘটনা ধরে ধরে জবাব দিতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। প্রথমে বলা হয়েছিল জেলা ভিত্তিক রিপোর্ট পাঠাতে হবে জেলা প্রশাসনকে। পরে থানা ধরে ধরে রিপোর্ট পাঠানোর জন্য জেলা পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকা।