কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রাজ্যের হলফনামা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ২৬শে জুলাইয়ের মধ্যে রাজ্য সরকারকে এই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল বৃহত্তর বেঞ্চ। আগামী ২৮জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন- তৃণমূল কর্মীর খুনের জট ছাড়াতে ঘটনাস্থলে খোদ পুলিশ কমিশনার
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবী এবং আবেদনকারীর আইনজীবী এদিনও রাজ্য সরকার, পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ আনে৷ এখনও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসার ঘটনা ঘটছে, মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, মহিলাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে বলে তাঁদের দাবি৷ জানানো হয়, দেবেন বর্মণ নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। অথচ পুলিশের এবং রাজ্য সরকারের কোনও মাথা ব্যাথা নেই। তাঁদের বক্তব্য, এমন আরও অনেক অভিযোগ আছে যা জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নথিবদ্ধ করতে পারেনি।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবী বলেন, আদালতের নির্দেশের পরেও অনেক অভিযোগ গ্রহণ করেনি রাজ্য পুলিশ। নব রায়, তপন হালদার অভিযোগ জানতে গিয়ে ফিরে এসেছেন। তাই অনেকেই মানবাধিকার কমিশনের অফিসারদের সামনে অভিযোগ করেন। নারীদের উপর শারীরিক অত্যাচারও হচ্ছে। অনেকেই বলেছেন যাঁরা নারীদের শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁদের শাসক দলের নেতাদের পক্ষ থেকে হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে৷
আরও পড়ুন- শহিদ দিবসে দুষ্কৃতীর গুলিতে ঝাঁঝরা তৃণমূল কর্মী, খুনের নেপথ্যে কে? তদন্তে পুলিশ
এদিকে, অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল ওয়াই জে দস্তুর আদালতে জানান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি ডিভিডি আদালতে জমা দিল, যেখানে অভিজিৎ সরকারের DNA পরীক্ষার ছবি আছে। প্রসঙ্গত, ভোটের ফল ঘোষণার দিন বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুন হন৷ তাঁর দেহ দু’বার ময়নাতদন্তের পর আদালত জানায় তাঁরা অভিজিতের দেহ সনাক্ত করতে পারেননি৷ এর পরেই আদালত DNA পরীক্ষার নির্দেশ দেয়৷ তাঁর পরিবারের দাবি, অন্য কারও দেহ অভিজিতের বলে দাবি করেছে পুলিশ৷