কলকাতা: প্রাথমিকে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে আরও এক ‘রঞ্জন’! নদীয়ার প্রাথমিক শিক্ষক সুমন চট্টোপাধ্যায়ের নামে নতুন অভিযোগ৷ ইনিই ‘নতুন’ রঞ্জন বলে দাবি করা হচ্ছে। সোনার বিনিময়ে দেওয়া হত চাকরি, এমনই অভিযোগ উঠছে। অবশ্যভাবে বলা যায়, প্রাথমিকের মামলায় এটি বড় মোড়।
আরও পড়ুন- কয়লা পাচার মামলায় CBI-এর দ্বিতীয় নোটিসে সাড়া, নিজাম প্যালেসে শওকত মোল্লা
আদালতে জানান হয়েছে, এই ব্যক্তি চাকরি দেওয়ার নাম করে অনেকের থেকে টাকা নিতেন। আবার কেউ যদি টাকা না দিতে পারত তাহলে তার থেকে নেওয়া হত সোনা। আদালতে এমনই অভিযোগ তুলেছে মামলাকারী। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে নাম জুড়ে গিয়েছে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও। দাবি করা হয়েছে, এই ‘নতুন’ রঞ্জন নিজেকে পার্থর আপ্ত সহায়ক সুকান্ত আচার্যের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করত। এই প্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ দিব্যেন্দু বিশ্বাস এবং সুকান্ত আচার্য নামে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, এই কারণেই মামলা দায়ের হাইকোর্টে। অভিযোগ, প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে নতুন ফাঁদ পেতেছিল নদীয়ার সুমন চ্যাটার্জী। তিনি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এবং তার আত্ম সহায়কের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং টাকা দিলেই মিলবে চাকরি, এমন দাবি তুলতেন। তবে যদি চাকরি না পাওয়া যায় সেই টাকা ডবল করে দেওয়া হবে বলে চাকরিপ্রার্থীদের কাছে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই বলে অভিযোগ মামলাকারী। জানান হয়েছে, শিখা বিশ্বাস নামের এক মহিলার মেয়ে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। তার থেকে চাকরির জন্য ৭ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল। আবার সুপর্ণা দাস নামের একজন, তিনি ছেলের জন্য চাকরি আবেদন করেন। তার থেকে ৪.৫ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল।