নারদ মামলা: হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি রাজ্যের

নারদ মামলা: হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি রাজ্যের

কলকাতা:  সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে হলফনামা জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক৷  প্রসঙ্গত, নারদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু তাঁকে পুনরায় কলকাতা হাই কোর্টেই আবেদন করার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত৷ তার প্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ সেই হলফনামা জমা নেওয়া হবে কিনা, চলছে সেই মামলার শুনানি৷ যদি মুখ্যমন্ত্রী, আইন মন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের হলফনামা আজ গ্রহণ করা না হলে,  মামলা গড়াত সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত৷  আগামী ১৫ই জুলাই হবে মামলার পরবর্তী শুনানি৷

• নারদ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জে করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও রাজ্য সরকার।
আজই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাতে চলেছেন। চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য৷

• রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক হলফনামা জমা দেওয়ার পর আগামী ১০দিনের মধ্যে CBI এর  হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ বৃহত্তর বেঞ্চের।

• ৫০০০ হাজার টাকা জরিমানায় হলফনামা গ্রহণ করা হলো। সময়ের মধ্যে হলফনামা জমা না দেওয়ার জন্য এই জরিমান৷

• নারদ মামলায় মুখ্যমন্ত্রী, আইন মন্ত্রী ও রাজ্যের হলফনামা গ্রহণ করা হল৷
 

• হলফনামা গ্রহন করা নিয়ে যা তীব্র আপত্তি জানায় সিবিআই।

•  নারদ মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও রাজ্য সরকারের হলফনামা আজও কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে গ্রহণ করা হবে কিনা তা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজ

আরও পড়ুন- দেবাঞ্জনের রেশ কাটার আগে ফের পুলিশের জালে ভুয়ো অফিসার, উদ্ধার নীলবাতির গাড়ি

আরও পড়ুন- শুভেন্দুর মামলায় উঠে এল শিশির অধিকারীর নাম, প্রশ্ন কর্তা খোদ বিচারপতি!

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নারদ মামলা: ৪ হেভিওয়েট নেতামন্ত্রীর জামিন খারিজে জোর সওয়াল CBI-এর

নারদ মামলা: ৪ হেভিওয়েট নেতামন্ত্রীর জামিন খারিজে জোর সওয়াল CBI-এর

কলকাতা:  মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে নারদ মামলার শুনানির শুরুতেই সওয়াল করলেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা জামিন খারিজের আবেদন করিনি৷ আমরা চাই গ্রেফতারির পর নিম্ন আদালতের যাবতীয় বিচারপর্বের উপর স্থগিতাদেশ৷’’

আরও পড়ুন- ‘অভিমানে ভুলবশত BJP-তে যোগ দিয়েছিলাম’, দলে ফিরতে চেয়ে মমতাকে চিঠি দীপেন্দুর

প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টে চলছে সিবিআই-এর মামলা হস্তান্তরের আবেদনের শুনানি৷ নারদ মামলায় চার্জশিট জমা দিয়ে চার হেভিওয়েট নেতামন্ত্রীকে গ্রেফতারের পর যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চের কাছে সেই ব্যাখ্যা করেন তুষার মেহতা৷ এদিনও প্রভাবশালী তত্ত্ব তুলে ধরেন সিলিসিটার জেনারেল৷ তিনি বলেন, পরিকল্পিত এবং সংগঠিত ভাবে লোক নিয়ে এসে সিবিআই অফিসে ঘেরাও করা হয়েছিল৷ পাথর ছোড় হয়েছিল৷ মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীরা ধর্নায় বসেছিল৷ প্রভাবশালী তত্ত্বেই নারদ মামলা অন্যত্র সরানোর পক্ষে সওয়াল করেন তিনি৷  

উল্লেখ্য, নাদর কাণ্ডে চার হেভিওয়েট নেতামন্ত্রীকে ইতিমধ্যেই অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছে৷ ব্যক্তিগত ২ লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন মিলেছে৷ এদিন তুষার মেহতা বলেন, আমরা এখানে জামিন খারিজের আবেদন করিনি৷ আমরা চাই গ্রেফতারির পর আদালতের যাবতীয় বিচারপর্বের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক৷ তিনি বলেন, গোটা প্রক্রিয়াকে কলুষিত করা হয়েছে৷ এটাও ঘোষণা করুক হাইকোর্ট৷ এবং এটা করতে গিয়ে জামিন খারিজ করতে হলে সেটাই করুক আদালত৷ পাশাপাশি তুষার মেহতা আরও বলেন, গ্রেফতারির পর যা হয়েছে, তা দেশে তো বটেই বিশ্বের ইতিহাসে হয়েছে কিনা সন্দেহ রয়েছে৷ ক্যাবিনেট সদস্যরা গিয়ে ধর্না দিয়েছেন৷ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, এটা অত্যন্ত লজ্জার এবং দুর্ভাগ্যজনক৷ 

এদিন তুষার মেহতার মূলত বলেন, অভিযুক্ত যে চার হেভিওয়েট অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন প্রয়োজনে তা খরিজ করা হোক৷ পাশাপাশি চার প্রভাবশালী নেতাকে গ্রেফতারের পর নিজাম প্যালেসের বাইরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তার ভিত্তিতে মামলা অন্যত্র সরানো হোক৷ 

তুষার মেহতার অভিযোগ, এ রাজ্যে রাজনৈতিক উঁচু পদে থাকা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের যখনই দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়, তখনই পরিকল্পিত বিক্ষোভ বা হামলার ঘটনা ঘটে৷ মদন মিত্রের গ্রেফতারির সময়েও এই ঘটনা ঘটেছিল৷ সিবিআই-এর গাড়ি ভাঙচুর হয়েছিল৷ সিবিআই-এর কনস্টেবল আহত হয়েছিল৷ এর পরেই অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা প্রশ্ন, সেই সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিনের আবেদন করেছিলেন? করে থাকলে সেই আবেদন কি মঞ্জুর হয়েছিল? এর জবাবে তুষার মেহতা বলেন, রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই যাওয়ার পরেও হেনস্থা হয়ে হয়েছিল৷    

তুষার মেহতা আরও বলেন, সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে দীর্ঘদিন ধর্না ও ঘেরাও কর্মসূচি চলেছে৷ এর পরেই ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখ্যপাধ্যায়ের প্রশ্ন, এই ঘেরাও বা ধর্নার সঙ্গে অভিযুক্তদের প্রত্যক্ষ যোগ বা মদত না থাকে তাহলে তাঁদের জামিন কেন বাতিল করা হবে? বিচারপতি সৌমেন সেন বলেন, আগে যে ধর্না বা ঘেরাওয়ের কথা বলা হচ্ছে তাতে সেই সময় বিচার ব্যবস্থা প্রভাবিত হয়ে না থাকলে তাহলে সেই উদাহরণ এখান কী ভাবে যুক্তি সঙ্গত? তুষার মেহতা বলেন, বিভিন্ন সময় কেন্দ্র ও রাজ্যের মন্ত্রীরা গ্রেফতার হয়েছেন৷ রাজনৈতিক চক্রান্তের অভি়োগ উঠেছে৷ কিন্তু আমাদের মতো গণতান্ত্রিক দেশে বা অন্যত্র এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি৷        

   
তুষার মেহতা আরও বলেন, বিক্ষোভ, ধর্না, রাজ্যের মন্ত্রীদের অবস্থান, চাপের রাজনীতি সব কিছু থেকে মাননীয় বিচারক নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে পেরেছিলেন কিনা৷ বিচারকের রায় পক্ষপাতদুষ্ট না হলেও মানুষের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে৷   সুবিচার হলেই হবে না, মানুষকে তা উপলব্ধি করতে হবে৷ তুষার মেহতাকে বিচারপতি সৌমেন সেনের প্রশ্ন, আমাদের দেশে যে কোনও মানুষ যে কোনও মামলা শুনানিতে উপস্থিত থাকতে পারেন৷ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখানোর অধিকার মানুষের আছে৷ বিচারক কী ভাবে প্রভাবিত হবেন? 

বিচারপতি সৌমেন সেন বলেন, মামলা রুদ্ধদ্বার কক্ষে হয়েছে, ভার্চুয়ালি হয়েছে বিচারককে প্রভাবিত করার সুযোগ কী ভাবে হল? এর পর ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, এত অনিয়ম হলে কেন সিবিআই আইনজীবী মামলা মুলতুবি করার কথা বিচারককে বলেননি? এর জবাবে তুষার মেহতা বলেন, হাজার হাজার মানুষ পাথর ছুড়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী ধর্নায় বসে পড়েছেন৷ আমরা কী করব? এর পরেই আজকের মতো মামলার শুনানি শেষ হয়ে যায়৷   

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *