কলকাতা: আসন্ন ঘূর্ণিঝড়কে মাথায় রেখে বিশেষ পদক্ষেপ নিচ্ছে নবান্নে। কালীপুজোর প্যান্ডেলগুলির পরিকাঠামো যাতে দুর্বল না হয় তার জন্য দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্যান্ডেলগুলি শক্তপোক্ত আছে নাকি তা দেখতে হবে, প্রয়োজনে ডিএম’রা নিজে নজরদারি করবে। দক্ষিণবঙ্গের জেলার জেলাশাসকদের নির্দেশ বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের।
আরও পড়ুন- হয় চাকরি দিক, না হলে..’, বুধের সকালেও অবস্থানে অনড় টেট উত্তীর্ণরা, বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ
আসলে আগামী ২২ তারিখ থেকে সাইক্লোনের পূর্বাভাস রয়েছে। তাকে মাথায় রেখেই এই নির্দেশ। পাশাপশি সাইক্লোনের কথা মাথায় রেখে উত্তর-দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলী জেলাকে বিশেষ ভাবে সতর্ক করেছে নবান্ন। প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুম খুলতে হবে, এও জানান হয়েছে। এছাড়া উপকূলবর্তী এলাকা থেকে মানুষদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসতে হবে। এই তিন জেলায় বেশি প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা নবান্নের। পাশাপশি পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরকে সব রকমের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ নবান্নের।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। তাদের বক্তব্য, ওড়িশা এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে একটি অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। আর তার প্রভাবেই এই বৃষ্টিপাত হতে পারে। পাশাপাশি আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তও ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা আরও শক্তিশালী হবে। এবং অচিরেই তা পরিণত হবে নিম্নচাপে। নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর এই ঘূর্ণাবর্তের অবস্থান হবে মধ্য বঙ্গোপসাগরে৷ এমনটাই জানিয়েছেন আবহবিদরা৷ হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তটি মধ্য বঙ্গোপসাগরে পৌঁছনোর পর তা আরও শক্তি বাড়াবে এবং ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তবে এই ঘূর্ণিঝড় কবে ও কোথায় আছড়ে পড়বে,সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানায়নি হাওয়া অফিস।