হয় চাকরি দিক, না হলে..’, বুধের সকালেও অবস্থানে অনড় টেট উত্তীর্ণরা, বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ

হয় চাকরি দিক, না হলে..’, বুধের সকালেও অবস্থানে অনড় টেট উত্তীর্ণরা, বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ

কলকাতা: দু’রাত অতিক্রান্ত৷ একইভাবে রাস্তায় পড়ে রয়েছেন টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা৷ বুধবারের সকালেও সল্টলেকের করুণাময়ীতে নিজেদের অবস্থানে তাঁরা অনড়৷ আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা৷ বুধবার সকালে সেই ঝাঁঝ যেন আরও কিছুটা বাড়ল। জল, খাবার না ছোয়ার পণ করেছেন। শুধু তাই নয়, চাকরিপ্রার্থীদের মুখে একটাই কথা, ‘হয় সরকার চাকরি দিক, নয়ত লাশ তুলে নিয়ে যাক।’ 

আরও পড়ুন- একবালপুর ঘটনার তদন্ত শুরু করতে চলেছে NIA, কবে থেকে

এদিকে, টেট উত্তীর্ণদের লাগাতার আন্দোলনের জেরে অবরুদ্ধ করুণাময়ী থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত রাস্তা। ক্রমাগত পুলিশ মাইকিং করছে৷ কিন্তু কোনও ভাবেই সরানো যাচ্ছে না আন্দোলনকারীদের৷  বিক্ষোভকারীদের দাবি, পরীক্ষার ওএমআর শিট প্রকাশ্যে আনতে হবে। এই পরিস্থিতিতে পর্ষদ বল ঠেলেছে সরকারের কোর্টে৷  সরকার আবার আদালতের কোর্টে বল পাঠিয়ে বলছে, বিষয়টি বিচারাধীন। এদিকে, সোমবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভের ঝাঁঝ ক্রমশ বাড়ছে।

সোমবার সকালে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তিতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় করুণাময়ীতে। পরে বিধাননগর কমিশনারেট থেকে প্রচুর মহিলা পুলিশ মোতায়েন করা হলেও আন্দোলনকারীদের সরানো যায়নি।  ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ নন–ইনক্লুডেড প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীদের দাবি,  অযোগ্য ব্যক্তিদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাঁরা চাকরি থেকে বঞ্চিত।’ নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে তাতে অংশ নিতে নারাজ তাঁরা। তাঁদের দাবি, সরাসরি নিয়োগ দিতে হবে। কারণ তাঁরা প্রত্যেকেই ২০১৪ সালে টেট পাশ করেছেন।  দু’বার ইন্টারভিউও দিয়েছেন। অথচ তাঁদের হাতে এখনও নিয়োগপত্র আসেনি। এই অবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলছেন, ‘ পরপর দু’বার ইন্টারভিউ দেওয়ার সুযোগ পেয়েও এই  প্রার্থীরা প্যানেলভূক্ত হতে পারেননি৷ আর বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নিয়ে পর্ষদের হাতে কোনও ক্ষমতা নেই। বয়সের ঊর্ধ্বসীমা স্থির করে সরকার।’