কলকাতা: বাংলার নির্বাচনী উত্তাপ শুরু হওয়ার আগে থেকে এটিকে নবান্নের লড়াই বলা হচ্ছে। বাংলা সহ গোটা দেশ দেখার অপেক্ষায় যে এই রাজ্যে পরিবর্তন হবে না প্রত্যাবর্তন। সেই প্রেক্ষিতে বিজেপির তরফ থেকে আগেই দাবি করা হয়েছিল যে তারা ক্ষমতায় এলে নবান্নে যাবে না, পুরনো রাইটার্স বিল্ডিংয়েই কাজকর্ম ফিরিয়ে আনবে। রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেছিলেন, মহাকরণের সঙ্গে বাঙালির আবেগ এবং ঐতিহ্য জড়িয়ে রয়েছে। সেই আবেগকে সম্মান জানাতেই তাঁরা মহাকরণে ফিরে আসতে চান। তবে আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সাংসদ তথা টালিগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় যা বললেন, তা অবশ্যই ভোটের রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়াল। তিনি মন্তব্য করলেন, নবান্ন একটি অভিশপ্ত বাড়ি!
নিজের ফেসবুক পোস্টে বাবুল সুপ্রিয় লিখেছেন, ‘বিজেপি কি কখনো বলেছে যে সরকার গড়ে নীলবাড়িটিকেই হেডকোয়ার্টার করবে?? আমি তো বরঞ্চ মনে করি, ওই নীলবাড়িটিতে বসে চরম জনবিরোধী ও একান্তই নিষ্ঠুর ও অনৈতিক যে সব কাজকর্ম করেছেন মাননীয়া মমতা ব্যানার্জী, তাতে ওই বাড়িটি বাংলার ইতিহাসে একটি অভিশপ্ত বাড়ি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থেকে যাবে!!‘ তবে নবান্নের কী হবে? সেটি কি ফাঁকা পড়ে থাকবে? সেই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘নীলবাড়িটির শাপমুক্তি হতে পারে একমাত্র যদি ওটিকে একটি গরীব মানুষের হাসপাতাল বা মনোরম একটি বৃদ্ধাশ্রম বা গ্রামগঞ্জের যে সব ছাত্র কলকাতায় পড়তে আসে, তাদের জন্য একটি ছাত্রাবাসে রূপান্তরিত করা হয়!!‘ যদিও বাবুলের কথায় পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস শিবির। তাদের বক্তব্য, তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে বিধায়ক করতে চাইছে বিজেপি। এর থেকেই বোঝা যায় দলে তাঁর কী অবস্থান।
আরও পড়ুন- ‘পা ভেঙেছে নন্দীগ্রামে!’, অপমানের থিওরিতেই মমতা বিরোধী অস্ত্রে শুভেন্দুর
প্রসঙ্গত, ১৭৭৬ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাইটারদের থাকার জন্য তৈরি হয়েছিল রাইটার্স বিল্ডিং বা মহাকরণ। ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার কিছু দিন পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মহাকরণ সংস্কারের জন্য রাজ্য প্রশাসনের মুখ্য সচিবালয় গঙ্গার ওপারে, হাওড়ার নবান্নে সরিয়ে নিয়ে যায়।