কলকাতা: শনিবার অর্থাৎ আগামীকাল নবদ্বীপে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার রাজনৈতিক সমাবেশ রয়েছে এবং একই সঙ্গে রথযাত্রা করার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য বিজেপির। কিন্তু জানা যাচ্ছে, নবদ্বীপে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির রাজনৈতিক সমাবেশের অনুমতি মিলল এখনো পর্যন্ত মেলেনি রথযাত্রার অনুমতি। কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ বিজেপির এই সমাবেশের অনুমতি দিলেও এখনো রথ যাত্রার অনুমতি দেয়নি। তাদের তরফ থেকে বলা হয়েছে, রথ যাত্রার বিষয়টি এখনো আদালতে বিচারাধীন। সেই কারণেই রথযাত্রা সম্পর্কিত কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না অতএব অনুমতি মিলবে না।
তবে এই রথ যাত্রার অনুমতি মেলা এবং না মেলার বিষয়কে নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, তারা কোনভাবেই রাজ্য সরকারের কাছে অনুমতি চাননি, তারা শুধুমাত্র তাদের কর্মসূচি সম্পর্কে জানিয়েছেন। বিজেপি পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ রাজনৈতিক দল এবং গোটা দেশ শাসন করছে। এতগুলো রাজ্যে সরকার আছে, তাই আলাদা করে অনুমতির প্রয়োজন নেই। মুখ্য সচিবকে এই ব্যাপারে জানানো হয়েছে এবং তার কথামতো জেলা স্তরে আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেছে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে নব্য বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, রাজ্য প্রশাসনের অনুমতির ওপর কিছু নির্ভর করছে না। বিজেপির তরফ থেকে যে পরিবর্তন যাত্রার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে তা হবেই, কেউ আটকাতে পারবে না।
আরও পড়ুন: বিজেপি’র রথ ছুটবেই, রুখতে পারবে না স্থানীয় প্রশাসন, হুঙ্কার বিজয়বর্গীয়র
প্রসঙ্গত, এর আগে মুখ্য সচিবের দফতর থেকে বলা হয়েছিল রথ যাত্রার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে৷ কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির৷ আগামীকাল বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রথ যাত্রা সূচনার প্রস্তুতি এক তুঙ্গে৷ নবদ্বীপ, কোচবিহার, কাকদ্বীপ, ঝাড়গ্রাম এবং তারাপীঠ থেকে শুরু হবে পাঁচ রথের যাত্রা৷ ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্র স্পর্শ করে ছুটবে বিজেপি’র পঞ্চ রথ৷ এই প্রসঙ্গে কৈলাস বিজয়বর্গী বলেন, ‘‘আদালত রথ যাত্রার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেনি৷ তাই জেলা প্রশাসন কোনও ভাবেই রথ যাত্রা আটকাতে পারেন না৷ বিরোধী হিসাবে মানুষের কাছে পৌঁছনো আমাদের মৌলিক অধিকার৷ ৬ ফেব্রুয়ারি নবদ্বীপ থেকে নাড্ডাজি বাংলায় রথ যাত্রার সূচনা করবেন৷ ১১ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারে অপর একটি রথ যাত্রায় অংশ নেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷’’ ফাইল ছবি