কলকাতা: নীলবাড়ি দখলের লক্ষ্যে ভোটমুখী বাংলায় ‘রথ যাত্রা’র পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি৷ দলের নীল নকশা অনুযায়ী রাজ্যের ২৯৪টা বিধানসভা এলাকা স্পর্শ করে ২৫ দিন ধরে ঘুরবে সেই রথ। রাজ্য প্রশাসন কোনও ভাবেই পরিকল্পিত পাঁচ রথ যাত্রা রুখতে পারবে না৷ কারণ আদালত তাঁদের রথ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি৷ শুক্রবার সুর চড়ালেন বাংলায় দলের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷
আরও পড়ুন- ‘শোভন চট্টোপাধ্যায় ফুলকো লুচি’, তীব্র কটাক্ষ সৌমিত্র গিন্নি সুজাতা মন্ডলের
আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজয়বর্গীয় বলেন, বাংলা জুড়ে এগিয়ে চলবে বিজেপি’র রথ৷ আগামীকাল দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা পতাকা দেখিয়ে সেই যাত্রার উদ্বোধন করবেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘আদালত রথ যাত্রার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেনি৷ তাই জেলা প্রশাসন কোনও ভাবেই রথ যাত্রা আটকাতে পারেন না৷ বিরোধী হিসাবে মানুষের কাছে পৌঁছনো আমাদের মৌলিক অধিকার৷ ৬ ফেব্রুয়ারি নবদ্বীপ থেকে নাড্ডাজি বাংলায় রথ যাত্রার সূচনা করবেন৷ ১১ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারে অপর একটি রথ যাত্রায় অংশ নেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷’’ ‘গেরুয়া রথে’ দেখা যাবে দিলীপ, মুকুল, শুভেন্দু-সহ বাংলার সব নেতাদের।
প্রসঙ্গত, এর আগে মুখ্য সচিবের দফতর থেকে বলা হয়েছিল রথ যাত্রার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে৷ কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির৷ আগামীকাল বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রথ যাত্রা সূচনার প্রস্তুতি এক তুঙ্গে৷ নবদ্বীপ, কোচবিহার, কাকদ্বীপ, ঝাড়গ্রাম এবং তারাপীঠ থেকে শুরু হবে পাঁচ রথের যাত্রা৷ ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্র স্পর্শ করে ছুটবে বিজেপি’র পঞ্চ রথ৷
আরও পড়ুন- ভোটের আগে বাংলায় ৬ হাজার কোটি বরাদ্দ করল ভারতীয় রেল, ট্যুইট রেলমন্ত্রীর
তবে এই রথের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলা৷ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে রথ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করার আর্জি জানিয়ে এই মামলা করা হয়েছে৷
১৯৯০ সালে একইভাবে রথ যাত্রা করেছিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী৷ যার প্রভাব পড়েছিল ভোট বাক্সে৷ ১৯৯১ সালে ৮০ থেকে বেড়ে ১২০টি আসনে পৌঁছেছিল বিজেপি। সেই সাফল্যের চাবিকাঠি এবার বাংলায় প্রয়োগ করার কৌশল নিয়েছে গেরুয়া দল৷