খাবার নষ্ট করায় নির্মম শাস্তি! ৩ বছরের শিশুর সারা গায়ে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিল মা

খাবার নষ্ট করায় নির্মম শাস্তি! ৩ বছরের শিশুর সারা গায়ে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিল মা

বারুইপুর:  ভাত নষ্ট করেছিল সে৷ এটাই ছিল তার দোষ! আর সেই দোষের মাশুল চোকাতে হল গরম খুন্তির ছ্যাঁকা খেয়ে৷ হ্যাঁ, শুধুমাত্র এইটুকু অপরাধের জন্য ৩ বছরের শিশুর উপর পৈশাচিক অত্যাচার চালাল তার মা৷ ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের তালদির চাঁদখালি এলাকায়৷ নিজের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন ওই মহিলা৷ ক্যানিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে শিশুটিকে৷ 

আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে রাজ্যের গঠিত SIT-এর মাথায় মঞ্জুলা চেল্লুর

 

জানা গিয়েছে, ভাত ফেলা নিয়ে পরিবারে অশান্তি বেধেছিল৷ তার কোপ গিয়ে পড়ে একরত্তি শিশুটার উপর৷ তার গায়ে গরম খুন্তি চেপে ধরে তার মা৷ একবার নয়৷ একাধিকবার তাকে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়৷ জানা গিয়েছে, বছর ছয়েক আগে  বারুইপুরে তালদির চাঁদখালির বাসিন্দা দেবাশিস আচার্যের সঙ্গে বিয়ে হয় রাসমাঠ এলাকার বাসিন্দা অর্পিতার৷ তাঁদের একটি ৩ বছরের পুত্রসন্তান রয়েছে৷ বুধবার রাতে ভাত ফেলা নিয়ে শ্বশুরমশাই হরিহর আচার্যের সঙ্গে বচসা বাধে অর্পিতার৷ ক্রমে তুমুল অশান্তি শুরু হয়৷ সেটা ছিল সূত্রপাত৷ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাগের মাথায় ছেলেকে ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে তারা সারা শরীরে গরম ছ্যাঁকা দিতে শুরু করেন অর্পিতা৷ যন্ত্রণায় প্রবল চিৎকার শুরু করে শিশুটি৷ সকলে দৌড়ে আসে৷ কিন্তু ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেওয়ায় শিশুটিকে উদ্ধার করাও সম্ভব হচ্ছিল না৷ পরে দেবাশিসবাবু স্থানীয় মহিলা সমিতির সদস্যদের ডেকে আনেন৷ তাঁরে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যান৷ 

আরও পড়ুন- হিন্দুদের রক্ত লেগে মমতার হাতে! ‘দুর্গা প্রতিমা’ তৈরিতে ক্ষুব্ধ অমিত

এদিকে, খবর পেয়েই শিশুটির বাবা ও মা-কে গ্রেফতার করে ক্যানিং থানার পুলিশ৷ অপরাধ স্বীকার করে নেন অর্পিতা৷ তাঁর শ্বশুরমশাই হরিহর আচার্য ও শাশুড়ি অনিন্দিতা আচার্যের অভিযোগ,  তাঁদের বাড়িতে অশান্তি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা৷ প্রতিনিয়ত নিজের ছেলেকে প্রাণে মেরে তাঁদের ফাঁসানোর হুমকি দিতেন অর্পিতা। এমনকী নিজেও বেশ কয়েকবার আত্মহত্যার করতে গিয়েছিলেন তিনি৷ অন্যদিকে অর্পিতার বক্তব্য, “আমার স্বামী, ভাসুর ও শ্বশুর প্পতিনিয়ত আমার এবং আমার সন্তানের উপর অত্যাচার চালায়। তাই রাগের মাথায় সন্তানকে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিয়েছি।”  

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × two =