কলকাতা: সব জল্পনার অবসান। এবার জেলার সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। কার্যত বড় জেলাগুলিকে প্রশাসনিক সুবিধার জন্য ভেঙে দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর জেলা বাড়লে প্রশাসনিক কাজও বাড়বে। সেক্ষেত্রে কাজের সুবিধার জন্য রাজ্যে আমলার সংখ্যা বাড়াতে চাইছে নবান্ন। আমলার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য দিল্লির ইউপিএসসিকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য।
আরও পড়ুন- সংক্রমণ, মৃত্যু বাড়ল দুটিই! কোভিড চতুর্থ ঢেউ কি আসন্ন
সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকের এই কথা জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘নতুন জেলা তৈরির পরিকল্পনা তো মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আছেই। তবে জেলার সংখ্যা বাড়াতে গেলে আরও আধিকারিকের প্রয়োজন। তাই পশ্চিমবঙ্গে আরও বেশি সংখ্যক নতুন আইএএস-আইপিএস পাঠানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করা হবে। এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুখ্যসচিব এব্যাপারে কেন্দ্র চিঠি লিখবেন।’ বর্তমানে ২৩ টি জেলা রয়েছে রাজ্যে। রাজ্যের ৩টি বড় জেলা ভেঙে ৩টি ছোট গড়ে তোলার দিকে এগোচ্ছে নবান্ন। খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা হতে পারে বলেই জানা গিয়েছে। পাশাপাশি নবান্ন সূত্রে খবর, প্রশাসনিক সুবিধার জন্য দার্জিলিং, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা ভেঙে নতুন জেলা তৈরি করতে চাইছে সরকার।
বামফ্রন্টের আমলে মেদনীপুর ২৪ পরগনা পশ্চিম দিনাজপুর ভেঙে নতুন জেলা তৈরি হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বর্ধমান জলপাইগুড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর দার্জিলিংকে ভাঙা হয়। নতুন জেলাগুলি হয়েছে আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, পশ্চিম এবং পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম। প্রশাসনিক মহলের মতে আয়তনে বড় হওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি জেলা ভাঙার প্রয়োজন রয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রশাসনিক কাজের সুবিধা হবে। আপাতত রাজ্যে কোন কোন জেলাকে ভাঙা হচ্ছে এবং কিভাবে পুরো পরিকল্পনা বাস্তবে রূপায়িত হবে তার দিকে নজর থাকছে বিশেষজ্ঞদের।