নয়াদিল্লি: বিগত কয়েক দিন যাবত স্বস্তি বজায় থাকলেও আবার দেশের কোভিড গ্রাফ নিয়ে বিরাট চিন্তা বাড়ছে। আজ তুলনায় দৈনিক সংক্রমণ ১৫ শতাংশ বেড়েছে। আবার একদিনে মৃত্যুর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। একাধিক রাজ্যের পরিসংখ্যানে বদল হলেও সবথেকে বেশি চিন্তা হচ্ছে দিল্লিকে নিয়ে। কারণ রাজধানীতে করোনা গ্রাফ শেষ কয়েক দিন থেকে ঊর্ধ্বমুখী। আবার কোভিড গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় শঙ্কা বাড়ছে। তাহলে কি করোনার চতুর্থ ঢেউ চলে এল? উদ্বেগে রয়েছে দেশের সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন- ২৬টি দেশের পতাকা চিনিয়ে বিশ্ব রেকর্ড ১৪ মাসের খুদের, কুর্নিশ নেটিজেনদের
কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, আজ দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৩৮০ জন। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের। আবার একদিন সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ২৩১ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ১৪ হাজার ৪৭৯ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৪৩৩। এদিকে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২২ হাজার ০৬২ জনের। আপাতত দেশের সুস্থতার হার ৯৮.৭৬ শতাংশ। টিকাকরণও চলছে দাপটের সঙ্গে। এতদিনে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ১৮৭ কোটি ০৭ লক্ষের বেশি ডোজ। কিছুদিন আগে দেশে কোভিড বিধি প্রায় প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং অনেকে রাজ্যে মাস্ক ব্যবহারেও শিথিলতা জারি করা হয়েছে। কিন্তু ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্তের আশঙ্কায় আবার ধীরে ধীরে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে অনেক রাজ্যে।
ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে যে, নতুন দুই ধরণের ওমিক্রনের খোঁজ মিলেছে। তাহলে কতটা বিপদ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে? এর উত্তর আপাতত অজানা। সম্প্রতি তার বিএ.৪ এবং বিএ.৫ রূপ চিহ্নিত হয়েছে। কয়েকটি দেশে করোনার এই দুই রূপ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, এমনটাই দাবি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাহলে কি বিপদ আরও বেড়ে গেল? ‘হু’ আপাতত এই নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছে না। তারা জানাচ্ছে, এই প্রজাতিতে সংক্রমণের হার বেশি হলেও ভয়াবহতা মাত্রা খুব বেশি নয়। সেই রকম কোনও প্রমাণও এখনও পর্যন্ত কোথাও মেলেনি। তাই আপাতত এই নিয়ে চিন্তার কিছু নেই বলেই আশ্বস্ত করা হয়েছে।