কলকাতা: কসবা কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের আরও তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। রকারি বরাত পাইয়ে দেওয়ার নাম করে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানো থেকে শুরু করে মানুষকে ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়া, চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার মত অভিযোগে অভিযুক্ত সে এবং তাঁর কয়েকজন সহযোগী। সেই প্রেক্ষিতেই পুলিশ ভুয়ো টিকা-কাণ্ডে সুশান্ত দাস, রবিন শিকদার এবং শান্তনু মান্না নামে দেবাঞ্জনের আরও তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ জানতে পেরেছে, স্টেডিয়াম নির্মাণের বরাত পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক ঠিকাদারের কাছ থেকে ৯০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় দেবাঞ্জন। অন্যদিকে, সরকারি বরাত পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক ওষুধ সংস্থার কাছ থেকে আবার ৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিল সে। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে যে, একটি বেসরকারি সংস্থার শতাধিক কর্মীকে টিকা দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিল দেবাঞ্জন। সেই বাবদ সংস্থার তরফে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয় তাঁকে। আগেই জানা গিয়েছে, ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেব বিগত এক বছর ধরে প্রতারণার পরিকল্পনা করেছিল। প্রথমে ঠিক করেছিল পিপিই কিট এবং মাস্কের ব্যবসা করবে। কিন্তু পরে রাজনৈতিক যোগাযোগ বাড়িয়ে ভ্যাকসিনের ক্যাম্পের আয়োজন করতে শুরু করে সে। জাল স্টিকার বানিয়ে বোতলের লেবেল তৈরি করেছিল সে।
আরও পড়ুন: ‘স্বাস্থ্যসাথী’ থাকা সত্ত্বেও ফিরল রোগী, বড় জরিমানা শহরের দুই হাসপাতালকে
ইতিমধ্যে দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশ কমিশনার সৌমেন নেত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি এবং নির্দেশ দিয়েছেন যাতে ঘটনায় অভিযুক্ত দেবাঞ্জন কোনভাবেই ছাড় না পেয়ে যায়। সেই প্রেক্ষিতেই কঠোর এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কথা বলে তার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা করার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, দেবাঞ্জন দেবকে এমন শাস্তি দিতে হবে যাতে পরবর্তী ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটানোর আগে যে কেউ দু’বার ভাবে।