কলকাতা: নবান্ন অভিযানে অংশ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে DYFI কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার। এই মৃত্যুর ঘটনায় একদিকে যেমন শোকাহত সকলে, অন্যদিকে শ্লেষাত্মক আক্রমণ করা শুরু হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশকে। খুন করা হয়েছে ঐ নেতাকে এই অভিযোগ ইতিমধ্যেই তুলেছে সিপিএম-কংগ্রেস। এবার সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশকেই কাঠগড়ায় তুললেন মইদুলের স্ত্রী। সাফ দাবি করলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশই তাঁর স্বামীর হত্যাকারী। ঘটনায় আসল দোষীকে তা নিয়ে এখন বিতর্ক চলতে থাকবে কিন্তু মঈদুলের পরিবারের কি হবে সেটা এখনো কারো জানা নেই। অটোচালক ছিলেন মইদুল ইসলাম, তার একার কাঁধে ভর করে চলত সংসার। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী মইদুলের অকালমৃত্যুতে এখন দিশেহারা তাঁর মা, স্ত্রী এবং দুই ছোট্ট মেয়ে। পাড়ার ছেলের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ কোতুলপুরের শিহর-গোপীনাথপুর অঞ্চলের চোরকলা গ্রামও।
আরও পড়ুন- ‘জয় বাংলা’র পর ‘খেলা হবে’! তৃণমূলের স্লোগানে পর্দাফাঁস শুভেন্দুর
মইদুলকে এলাকায় সবাই চেনে ফরিদ নামে। এলাকার মানুষের কাছে তিনি এক লড়াকু মানসিকতার ছেলে হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। একই সঙ্গে সেখানকার ডিওয়াইএফআই ইউনিট সম্পাদক ছিলেন তিনি। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মইদুল অটো চালিয়ে নিজের সংসার চালাতেন। বাড়িতে রয়েছে বৃদ্ধা মা, স্ত্রী এবং দুই সন্তান। নবান্ন অভিযানে অংশগ্রহণ করার পর তার যে মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছে তার খবর জানতে পেরে কার্যত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গিয়েছে পরিবারের সকল সদস্য। এখন সকলের প্রশ্ন একটাই, পরিবারের কী হবে। মইদুলের বন্ধুমহলের দাবি, মইদুল সবসময় সকলের কাজ নিয়েই ভাবত, যাতে সবাই কাজ করে খেতে পারে। কিন্তু এখন তাঁর পরিবারের কি হবে, সেই প্রশ্নের উত্তর কারোর কাছে নেই।
আরও পড়ুন- প্রকাশ পেল মুখ্যমন্ত্রীর লেখা গান! সরস্বতী পুজোর আগেই মমতার নতুন ‘উপহার
রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট স্বতঃস্ফূর্ত থাকায় নবান্ন অভিযানে অংশগ্রহণ নিয়ে তাদের পরিবারের কারোর কিছু বলার ছিল না মইদুলকে। কিন্তু এই অভিযানে অংশগ্রহণ তার জীবনের শেষ রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে চলেছে তা স্বাভাবিকভাবেই বিন্দুমাত্র আন্দাজ করতে পারেনি কেউ। নবান্ন অভিযানে অংশ নিয়ে পুলিশের লাঠিচার্জে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মহিদুল ইসলাম মিদ্যা। ১৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর শারীরির অবস্থার অবনতি হলে মিদ্যাকে ক্যামাক স্ট্রিটের একটি নার্সিংহোম ভর্তি করা হয়৷ পরবর্তী ক্ষেত্রে সোমবার ভোর ৭টার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।