ধাক্কা বিজেপির, তৃণমূলের আপত্তিতে পেট্রোল পাম্প থেকে সরছে মোদীর ছবি

ধাক্কা বিজেপির, তৃণমূলের আপত্তিতে পেট্রোল পাম্প থেকে সরছে মোদীর ছবি

cdf38ce4df8f9c337a847fe0119f662b

 

নয়াদিল্লি: কয়েকদিনের অপেক্ষার পর এই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই রাজ্যের সব পেট্রোল পাম্প থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি সরানোর আর্জি জানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। যুক্তি ছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেহেতু নির্বাচনী প্রচার করছেন তাই পেট্রোল পাম্প গুলিতে তাঁর ছবি থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। যদিও এর পাল্টা যুক্তি দিয়ে বিজেপির দাবি ছিল, পেট্রোল পাম্প সরকারি জায়গা নয়, তাই সেখানে ছবি থাকতেই পারে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে যে, রাজ্যের সব পেট্রোল পাম্প থেকে সরাতে হবে নরেন্দ্র মোদীর ছবি। সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থা জানাচ্ছে এমন খবর।

আরও পড়ুন: ‘পয়া’ শুক্রবারে তৃণমূলের পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ! একই দিনে বিজেপিও

জানা গিয়েছে, নির্বাচন কমিশন মনে করছে, পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত পেট্রোল পাম্প গুলিতে নরেন্দ্র মোদীর ছবি আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করছে। সেই কারণে পেট্রোল পাম্প ডিলারদের নরেন্দ্র মোদীর ছবি তাদের পাম্প থেকে সরানোর জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করে যে সমস্ত বিজ্ঞাপন দেওয়া সেগুলি আদর্শ আচরণ বিধি বিরোধী। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, লোকসভা ভোটের মতো বিধানসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখ ব্যবহার করে প্রচারের জোর দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু এখন নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত তাদের মনোবলকে ধাক্কা দেবে। প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র পেট্রল পাম্পে প্রধানমন্ত্রীর ছবি নিয়ে আপত্তি নয়, করোনাভাইরাস টিকার শংসাপত্রে প্রধানমন্ত্রীর ছবি এবং বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা নিয়েও আপত্তি জানায় তৃণমূল কংগ্রেস। সেই নিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের কাছে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। তবে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির তরফে তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করে দেওয়া হয়। 

আরও পড়ুন: বামেদের প্রার্থী তালিকায় বড় চমক! অবশেষে নতুন মুখে গুরুত্ব!

গতকালই সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, পেট্রোল পাম্পে প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকা নিয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ পেট্রোল পাম্প সরকারি জায়গা নয়, বেসরকারি জায়গা। ব্যক্তিগত বাড়িতে যেভাবে দলের ঝান্ডা লাগানো যায়, বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার এবং ব্যানার দেওয়া যায়, সেভাবেই বেসরকারি পেট্রোল পাম্পে প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকতেই পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *