কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে এলেন তৃণমূলের বিধায়ক পরেশ পাল। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন তিনি৷ কাঁকুরগাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের খুনের নেপথ্যে বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়কের ‘নির্দেশ’ ছিল বলে অভিযোগ করেন অভিজিতের পরিবার এবং স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। মঙ্গলবার সেই মামলার তদন্তেই ডেকে পাঠানো হয় পরেশকে৷
আরও পড়ুন- মাছের বাজারে আগুন! আকাশ ছোঁয়া সবজি, ২০০ টাকা পাড় আমুদির দর
ঘড়িতে তখন সকাল ১০টা৷ পরেশের পালের গাড়ি এসে থামে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে। গাড়ি থেকে নেমেই সোজা ভিতরে ঢুকে যান বিধায়ক। সংবাদ মাধ্যমের কোনও প্রশ্নের জবাব তিনি দেননি৷ সিজিও কমপ্লেক্সের লিফটের জন্য যখন অপেক্ষা করছেন পরেশ, তখন সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনে তিনি ছিলেন নির্বিকার৷
২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচন মিটতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একের পর এক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা উঠে আসতে থাকে৷ এই ঘটনাগুলিকে ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ উল্লেখ করে একাধিক মামলা রুজু হয় কলকাতা হাই কোর্টে। ২০২১ সালের ২ মে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন উদ্ধার হয় কাঁকুড়গাছির শীতলাতলা লেনের বাসিন্দা অভিজিৎ সরকারের দেহ৷ তাঁর পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই অভিজিৎকে পিটিয়ে খুন করেছে। সুবিচার চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে চলছে সেই মামলার শুনানি৷ পরেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর নির্দেশেই এই কাজ করেছিল তৃণমূলের দুষ্কৃৃৃতীরা৷ প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটের প্রচারে গিয়ে হামলা চালানো, খুনের হুমকি দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>