কলকাতা: শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির সঙ্গে তাঁর গাড়ির চালক কৃষ্ণ কুণ্ডুর দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে সরগরম রাজনৈতিক মহল৷ চন্দনা বিয়ের কথা অস্বীকার করলেও জয় গড়ায় গঙ্গাজলঘাঁটি থানায়৷ সেই মামলাতেই এবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন চন্দনা।
আরও পড়ুন- ‘আপনারা তৈরি থাকুন’, তবে কি পুজোর আগেই ভোট? কমিশনের বার্তায় জল্পনা তুঙ্গে
গত ১৯ অগাস্ট চন্দনা বাউড়ি ও কৃষ্ণ কুণ্ডুর বিয়ের কথা প্রকাশ্যে আসে৷ ওই দিন থানায় বিধায়কের বিরুদ্ধে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন কৃষ্ণ কুণ্ডুর প্রথম স্ক্রী রুম্পা কুণ্ডু৷ সেই মামলাতেই বৃহস্পতিবার আত্মসমর্পণ করলেন চন্দনা। রুম্পা তাঁর লিখিত অভিযোগে জানান, দলের হয়ে একসঙ্গে কাজ করতেন চন্দনা ও কৃষ্ণ। সেই সূত্রেই তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় এবং তাঁরা গোপনে বিয়ে করেন৷ চন্দনা এবং নিজের স্বামীর দিকে আঙুল তুলে একাধিক অভিযোগ আনেন রুম্পা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ চন্দনা এবং কৃষ্ণের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে৷ এর মধ্যে রয়েছে ৪৯৮-এ(বধূ নির্যাতন), ৪৯৪ (বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক), ৪০৬ (বিশ্বাসভঙ্গ) এবং ৫০৬ (হুমকি দেওয়া) নম্বর ধারা৷ আজ বাঁকুড়া জেলা আদালতে ওঠে মামলা৷
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা: ধৃতদের জবানবন্দি নিতে প্রেসিডেন্সি জেলে CBI
অভিযোগ, অগাস্ট মাসের শেষের দিকে রাজ্যের দরিদ্রতম বিধায়ক চন্দনা তাঁর কো-কনভেনার কৃষ্ণ কুণ্ডুর হাত ধরে স্বামীর ঘর ছাড়েন৷ এর পর তাঁরা বিয়ে করে নেন৷ চন্দনা বিয়ের কথা অস্বাকীর করলেও, কৃষ্ণ যে চন্দনাকে ছেড়ে থাকতে পারছেন না, সে কথা একাধিকবার প্রকাশ্যে স্বীকার করে নেন৷ আর এর পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন চন্দনার প্রথম স্বামী শ্রবণ বাউড়ি এবং কৃষ্ণের প্রথম স্ত্রী রুম্পাদেবী। এর পর পুলিশ চন্দনাদের থানায় ডেকে পাঠালে চন্দনাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান শ্রবণ৷ কিন্তু রুম্পার অভিযোগ ভিত্তিতে মমলা দায়ের করে পুলিশ৷ এর পর থেকেই চাপ বাড়ছিল চন্দনার৷ আজ অবশেষে আত্মসমর্পণ করেন তিনি৷