কলকাতা: তাঁর মুখ থেকে কথা পড়লেই ভাইরাল৷ তা সে ‘চড়াম চড়াম’ হোক বা ‘গুড়-বাতাসা’ কিংবা ‘জয়ঢাক’৷ লাল মাটির দেশে এই মেঠো কথাতেই তিনি জনপ্রিয়৷ তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের পাশে বসেই এবার তাঁর অঙ্গভঙ্গি ‘মিমিক্রি’ করে দেখালেন কৌতুক শিল্পী সাজিদ খান৷ নিজের হুবহু নকল দেখে হাসি চেপে রাখতে পারলেন না অনুব্রত নিজেও৷ স্রেফ তৃণমূলের বীরভূম সভাপতির নকল করেই নাকি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ নামডাক করে নিয়েছেন সাজিদ৷ রবিবার বোলপুরে তৃণমূলের পার্টে অফিস জমে উঠল সাজিদের কাণ্ডকারখানায়৷
আরও পড়ুন- পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দোসর হয়ে হাজির বাংলাদেশে তৈরি ঘূর্ণাবর্ত, আগামী দু’দিন ভিজবে বাংলা
গতকাল অনুব্রতের পাশে বসেই তাঁর ভাবভঙ্গিমা অবিকল অনুকরণ করে দেখান সাজিদ৷ তাঁর মধ্যে নিজেকে দেখে বেশ খুশি অনুব্রত৷ সাজিদ যখন তাঁর নকল করে দেখাচ্ছেন, তখন পাশে বসে মুচকি মুচকি হাসছেন বীরভূমের এই দাপুটে নেতা৷ সাজিদের অঙ্গভঙ্গিতে হাসি চেপে রাখতে পারেননি বোলপুরে তৃণমূলের অন্যান্য কর্মকর্তারাও৷
বোলপুরের কাশীপুর এলাকার বাসিন্দা সাজিদ বেশ কয়েক বছর ধরেই অনুব্রতর ভাবভঙ্গী অনুকরণ করে ভিডিয়ো তৈরি করছেন। ইউটিউব থেকে ফেসবুক, তার এই মিমিক্রি বেশ ভাইরাল৷ কিন্তু কোনও দিন অনুব্রতর মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পাননি৷ সেই সুযোগ প্রথম এল গতকাল৷ সাজিদ জানিয়েছেন, ২০২১ সালে প্রথম বার তিনি অনুব্রতর অনুকরণ করে টিকটক অ্যাপে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেন। তাঁর তৈরি এমনই একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ১০ লক্ষ ভিউ হয়েছে৷ ইউটিউব বা ফেসবুকে তাঁর একাধিক ভিডিয়োও জনপ্রিয়তা কুড়িয়ে নিয়েছে৷ তাঁর ফ্যান-ফলোয়ার্সও কম নয়৷
সাজিদ জানান, ব্যক্তিগত কাজেই এদিন তৃণমূল পার্টি অফিসে গিয়েছিলেন তিনি৷ সেই সময় সেখানে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল৷ তখনই অনুব্রতবাবু জানান তিনি আমার ভিডিয়ো দেখেছেন। এর পরেই তাঁকে অনুকরণ করে একটা ভিডিয়ো করার অনুরোধ জানান৷ তাই অনুব্রতবাবুর পাশে বসেই একটি ভিডিয়ো তৈরি করি৷ ইতিমধ্যেই তা ভাইরাল হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘অনুব্রতবাবুর পাশে বসে কাজ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে৷ তাঁকে হাসাতে পেরে আমি খুশি৷’