কসবায় ভ্যাকসিন জালিয়াতির শিকার খোদ তৃণমূল সাংসদ মিমি, গ্রেফতার ভুয়ো আমলা

কসবায় ভ্যাকসিন জালিয়াতির শিকার খোদ তৃণমূল সাংসদ মিমি, গ্রেফতার ভুয়ো আমলা

কলকাতা: করোনা ভ্যাকসিন জালিয়াতির স্বীকার খোদ তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। গত ২২ জুন কসবার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ভ্যাকসিন ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছিল৷ তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, রূপান্তরকামী, বিশেষভাবে সক্ষম কিছু বাচ্চা ও দুঃস্থদের সেখানে টিকা দেওয়ার আয়োজন করা হয়। ওই ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন মিমিও। সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে সেখান থেকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজও নেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ। কিন্তু পরে মিমি জানতে পারেন এই টিকাকরণ কেন্দ্রটি কলকাতা পুরসভার অনুমতি ছাড়াই চলছে৷ এমনকী ওই ক্যাম্পের আয়োজক দেবাঞ্জন দেবও একজন ভুয়ো আমলা৷ খটকা লাগার পরেই দেবঞ্জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ 

আরও পড়ুন- সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন করেছেন রাজ্যপাল, লোকসভার স্পিকারের কাছে নালিশ অধ্যক্ষ বিমানের

মিমি জানান, মঙ্গলবার কসবার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ভ্যাকসিন ড্রাইভে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল৷ ওই ক্যাম্পে গিয়ে ভ্যাকনিন নেন তিনি নিজেও৷ কিন্তু টিকা নেওয়ার পর মিমির খটকা লাগে৷ তিনি বলেন, সাধারণত টিকা নেওয়ার পরেই মোবাইলে মেসেজ আসে৷ কিন্তু আমার মোবাইলে কোনও মেসেজ আসেনি৷ ভেবেছিলাম কোনও কারণে হয়তো আসেনি৷ পরে নিশ্চয় আসবে৷ এর পর সার্টিফিকেটের কথা বলতেই বলা হয়, আপনি বাড়ি পৌঁছতে পৌঁছতেই সার্টিফিকেট চলে আসবে৷ আপনার বাড়িতেই সার্টিফিকেট পৌঁছে দেওয়া হবে৷ কিন্তু তাও আসেনি৷ এর পর নিজের টিমকে এ বিষয়ে বলেন মিমি৷ তাঁরা জানান, ৩-৪ দিন পর সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে৷ এর পর নড়েচড়ে বসেন সাংসদ৷ ওই ক্যাম্প থেকে যাঁরা টিকা নিয়েছেন তাঁরা সকলে রেজিস্ট্রেশন করেছেন কিনা, খোঁজ নেন৷ তিনি আরও জানতে পারেন, ওই ক্যাম্প থেকে যাঁরা টিকা নিয়েছেন তাঁর কেউই সার্টিফিকেট পাননি৷ এর পরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মিমি৷ 

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারেন দেবাঞ্জন দেব আসলে ভুয়ো অফিসার৷ তিনি জয়েন্ট কমিশনার অফ কলকাতা কর্পোরেশনের পরিচয় দিয়ে ভ্যাকসিনেশন ড্রাইভের আয়োজন করেছিলেন। এই শিবিরের জন্য কলকাতা পুরসভার অনুমতিও নেওয়া হয়নি৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 + 4 =