কলকাতা: নন্দীগ্রামে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর গুরুতর আহত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে তিনি জানিয়েছিলেন ষড়যন্ত্র করে তাঁকে কয়েকজন ধাক্কা মেরেছে। আপাতত তিনি কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাটক করছেন। যদিও বাম এবং কংগ্রেস ছাড়া অন্যান্য সমস্ত বিরোধী দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করছে। এবার দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিলেন প্রখ্যাত সমাজবিদ মেধা পাটেকর। তিনি বললেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র গণতন্ত্রের ওপর হামলা নয়, একজন মহিলা নেত্রীকে অসম্মান এবং হেনস্থা করা।
মমতার আহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই টুইট করেছেন মেধা পাটেকর। তিনি বলছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর আক্রমণ শুধুমাত্র গণতন্ত্রের ওপর হামলা হয়েছে তা নয়, একজন মহিলা নেত্রীকে অসম্মান এবং হেনস্থা করাও। কারা করেছে ভেবে দেখুন? তারা এই ধরণের হিংসাত্মক কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাদের অবিলম্বে শাস্তি প্রয়োজন।” এই মন্তব্য করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। এদিকে বিজেপি বিরোধিতায় রাজ্যে রাজ্যে প্রচার শুরু করেছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। তার সদস্য হয়ে কলকাতায় এসেছেন মেধা পাটেকর। বিজেপির বিরোধিতা তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, দিল্লিতে যে সরকার রয়েছে তাকে ধিক্কার জানান তিনি। এই সরকার পুরো দেশ বিক্রি করতে চলেছে সেই কারণে এর বিরোধিতা প্রয়োজন। মেধার কথায়, শুধুমাত্র জাতি এবং ধর্মের নামে খেলছে ভারতীয় জনতা পার্টি তাই দেশকে বাঁচাতে হবে। একই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বিজেপি বাংলার ক্ষতি করতে চাইলে কেউ ছেড়ে কথা বলবে না।
Attack on Mamata Bannerjeeis not only an assault on democracy but also molestation of a woman leader..one can guess by whom..those who are proved to be patriarchal and violent.punish them.
— Medha Patkar (@medhanarmada) March 11, 2021
আরও পড়ুন: স্মৃতি-ধর্মেন্দ্রকে নিয়ে মেগা রোড শো! আজ মনোনয়ন জমা শুভেন্দুর
কৃষক আন্দোলনের শুরু থেকেই তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, বারবার প্রতিনিধি দল পাঠানোর পাশাপাশি নিজেও কথা বলেছেন তাঁদের সঙ্গে, বিজেপিকে বিঁধেছেন বারবার। এবার ভোট বঙ্গে আন্দোলনকারী কৃষক নেতারা। সংযুক্ত কৃষাণ মোর্চার তরফে জানান হয়েছে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দেশের সমস্ত কিছু বেচে দিতে চাইছে। ব্যাংক-বীমা রেল কয়লা সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গুলো কেই বেছে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে এই বিজেপি সরকার। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পথে বসানোর পরিকল্পনা করেছে বিজেপি সরকার। তাই তারা যে পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে সমস্ত রাজ্যগুলিতে যাচ্ছে। একই সঙ্গে আবেদন জানান হচ্ছে, বিজেপিকে যেন একটিও ভোট না দেওয়া হয়।