কলকাতা: করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভ্রুকুটি কাটিয়ে উঠেছে দেশ কিন্তু এখন তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই একাধিক গবেষণা রিপোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে আগামী অক্টোবর মাসে সবথেকে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ। দেশের চিন্তা তো বেড়েছে, তবে সব থেকে বেশি চিন্তায় বাঙালিরা কারণ সেই মাসেই পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপুজা। তাই অবশ্য ভাবে বাড়তি সতর্কতা জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। সেই প্রেক্ষিতেই রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট ঘোষণা করে দিলেন যে, মুখে মাস্ক না থাকলে কোন জিনিস করা যাবে না পুজোর সময়।
আরও পড়ুন- জইশ জঙ্গিরা মুক্ত কাবুলে, প্রশিক্ষণে মাসুদ! ভারতে হামলার ছক
মুখে যদি কারোর মাস্ক না থাকে তাহলে পুজোর বাজারে কেনা-বেচা দুই নিষিদ্ধ! এমন টাই স্পষ্ট ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে, যে হকার বা দোকানদার মাস্ক পরবেন না তাদের বিরুদ্ধে অতিমারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে যারা মাস্ক পরে কেনাকাটা করতে আসবেন না তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। এর পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে, শহরের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি বাসে যাতে মাস্ক না পড়লে কাউকে উঠতে না দেওয়া হয় সেই দিকে নজর দিতে হবে কন্ডাক্টরদের। আপাতত এমনই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে কলকাতা পুরসভার তরফে। তৃতীয় ঢেউয়ের আতঙ্কের মাঝে এবার বাঙালির সেরা উৎসব হওয়ায় এমনিতেই মন খারাপ সকলের। তাই বাড়তি সর্তকতা অবলম্বন না করলে যে উৎসব ঠিকভাবে পালন করা সম্ভব নয় সেটাও সবাই জানেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই কলকাতা পুলিশ এবং কলকাতা পুরসভা বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে পথে নেমেছে।
রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আরও জানিয়েছেন, প্রতিটি বাজার এবং দোকান খোলার সময় এবং বন্ধের সময় স্যানিটাইজেশন করতে হবে। অন্যদিকে শপিং মল বা বেসরকারি বাজারেও স্যানিটাইজেশন বাধ্যতামূলক। যদিও মাস্ক পরার নিয়ম যদি কেউ ভঙ্গ করেন তাহলে প্রাথমিকভাবে তাকে সতর্ক করবে পুলিশ। তবে পরবর্তী ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা হকারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।