ঝাড়গ্রাম: জঙ্গলমহলে ফের শক্তি বাড়াচ্ছে মাওবাদীরা৷ দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে সক্রিয় হচ্ছে মাওবাদী শক্তি৷ এমনই ইঙ্গিত মিলেছে মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে৷ মার্কিন নাগরিকদের উদ্দেশে জঙ্গলমহলে পা না রাখার আর্জি জানানো হয়েছে৷
আরও পড়ুন- ইট-পাটকেল থেকে গুলি-বোমাবাজি, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র দুবরাজপুর
আগামী কাল অর্থাৎ ২৪ নভেম্বর মাও নেতা কিষেন জি’র দশম মৃত্যু বার্ষিকী৷ তার আগে বেশ থমথমে ঝাড়গ্রাম৷ মার্কিন রিপোর্ট বলছে জঙ্গলমহলে ফের শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে মাওবাদীরা৷ শুধু মার্কিন রিপোর্টই নয়, আমাদের রাজ্য এবং দেশের গোয়েন্দাদের রিপোর্টেও মিলেছে একই ইঙ্গিত৷ ট্রাভেল অ্যাডভাইসরিতে দেশের নাগরিকদের জঙ্গলমহলে ঘুরতে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
কিষাণজির মৃত্যুর পর গত ১০ বছরে জঙ্গলমহলে নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করতে একাধিকবার বনধ ডেকেছে মাওবাদীরা। তবে সে বনধের প্রভাব চোখে পড়েনি। কারণ তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর সাধারণ মানুষের সমর্থন হারিয়েছিল মাওবাদীরা। কিন্তু দশ বছর পর এই প্রথম বনধে শুনশান জঙ্গলমহল। যা দেখে কপালে ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনের। তবে কী ধীরে ধীরে হারানো শক্তি ফিরে পাচ্ছে মাওবাদীরা? মিলছে মানুষের সমর্থন? সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকায় ফের মাওবাদী পোষ্টার দেখা গিয়েছে৷ উদ্ধার হয়েছে ল্যান্ডমাইন৷ যা ফের তাদের শক্তিবৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে। কিন্তু কি ভাবে হল এটা?
যে সকল এলাকায় মাওবাদী ডাকা বনধে সাড়া পড়েছে সেই সকল এলাকার মানুষের কথায়, ফের মাওবাদী সংগঠন মাথা চাড়া দেওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। উন্নয়নের জন্য আসা টাকাই ঘুরপথে মাওবাদীদের নতুন করে মানুষের সমর্থন আদায়ে সাহায্য করেছে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, উন্নয়নের জন্য পাঠানো টাকার বেশির ভাগটাই নাকি ঢুকেছে নেতাদের পকেটে৷ এই দুর্নীতির জেরেই ফেরে গ্রামের মানুষদের থেকে সমর্থন জোগার করছে মাওবাদীরা।
ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক নেতাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে একাধিক পোষ্টার পড়তে শুরু করেছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, লালগড়ে উদ্ধার হওয়ার দুটি ল্যান্ডমাইন ২৪ তারিখের জন্যেই প্রস্তুত করা হয়েছিল। যার মধ্যে একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এবং প্রচণ্ড শক্তিশালী। পরিস্থিতি যা তাতে কিষেন জি’র মৃত্যুবার্ষিকীর আগে থমথমে গোটা জঙ্গল মহল।