দুবরাজপুর: গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে তুমুল উত্তেজনা বীরভূমের দুবরাজপুরে৷ থান ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি থেকে প্রকাশ্যে চলল গোলাগুলি-বোমাবাজি৷ দু’পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের পদুমা পঞ্চায়েতের গাঁড়া গ্রাম৷ তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই সংঘর্ষ বলে অভিযোগ৷
আরও পড়ুন- একাধিক দফায় পুরভোট রাজ্যে? আদালতে হলফনামা কমিশনের
জানা গিয়েছে, আজ দুপুরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে ইট-পাটকেল ছোড়া শুরু হয়৷ ক্রমশ সেই অশান্তি গড়াল গুলি-বোমাবাজিতে৷ দলীর সূত্রে খবর, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মুকুল মণ্ডল এবং কার্যকরী সভাপতি তরুণ গড়াইয়ের গোষ্ঠীর মধ্যে ওই সংঘর্ষ বাধে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন৷ আহতদের দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, মঙ্গলবার দুপুরে দুবরাজপুর ব্লক অফিস থেকে গ্রামে সমীক্ষা করতে আসেন সরকারি আধিকারিকরা। তাঁরা মুকুল গোষ্ঠীর অন্যতম নেতা তথা ওই এলাকার বুথ সভাপতি গফ্ফর খানের বাড়ির পাশে সমীক্ষা করছিলেন৷ সেই সময় তরুণ গোষ্ঠীর লোকজন জানতে চান, তাঁদের এলাকায় কখন সমীক্ষা হবে৷ এ নিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে বচসার সূত্রপাত। যা গড়ায় সংঘর্ষে। অপর একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে সরকারি প্রকল্পের টাকা নয়ছয় নিয়ে দু’গোষ্ঠীর মধ্যে এই সংঘাত৷
যদিও এই ঘটনার সঙ্গে সরকারি প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের বিষয়টি মানতে চাননি বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ তাঁর কথায়, এটা কোনও রাজনীতির রং নয়৷ পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে৷ পুলিশ তার কাজ করছে৷ তরুণ বা মুকুল যেই হোন না কেন, এটা দলের কোনও বিষয় নয়৷ খেলার মাঠ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই ওদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে৷ সরকারি প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের প্রসঙ্গ উঠতেই অনুব্রত বলেন, বীরভূমে সরকারি টাকা নয়ছয় হবে না৷ এখানে আমি আছি৷ এসব বরদাস্ত করি না৷ এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই৷
অন্যদিকে, বিজেপি’র জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, উনি শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছেন৷ এটা গোটা বাংলার মানুষ দেখেছে৷ যাঁরা মার খেয়েছে তাঁরাও তৃণমূল করেন আবার যাঁরা মেরেছেন তাঁরাও তৃণমূল করেন৷