রামপুরহাট: রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বোমা হামলায় মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের৷ তিনি রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পরেই গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় এবং তাতে মৃত্যু হয়েছে একাধিক। মৃতের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও মৃত্যু দুই অঙ্কে পৌঁছেছে। বিরাট আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এই বগটুই গ্রামে। পরিস্থিতি এমন যে অনেক গ্রামবাসী গ্রাম ছাড়ছেন। এমনকি ঘর ছাড়ছেন ভাদু শেখের পরিবারের সদস্যও।
আরও পড়ুন- সরকারের ভাবমূর্তি খারাপ করার চেষ্টা, রামপুরহাটের ঘটনায় সরব পার্থ
আবার হামলা হবে নাতো? এই প্রশ্ন এখন গ্রামের সকলের মনে। আর এই ভয় থেকেই গ্রাম ছাড়া হচ্ছেন অনেকে। রাত নামতেই আতঙ্ক বাড়ছে, চারিদিক খা খা করছে। আগের রাতের স্মৃতি ভিড় করে আসছে সকলের মধ্যে। তাই আশঙ্কা এবং আতঙ্ক দুইই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। সেই কারণেই এই গ্রামে আর থাকতে চাইছেন না কেউ। বাক্স গুছিয়ে বেরিয়ে যেতে চাইছেন যত জলদি সম্ভব। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন। তাই তাদের ওপরও বেশি ভরসা করতে পারছেন না কেউ। তবে সবাই গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছেন তা নয়। কেউ কেউ থাকছেন। কিন্তু বিকেল হতেই তাদের ঘরের দরজায় খিল পড়ে যাচ্ছে।
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের পুড়ে যাওয়া বাড়ি এবং এলাকা পর্যবেক্ষণের পর সিট বলছে, দুর্ঘটনা নয়, আগুন লাগানো হয়েছিল। কারা লাগিয়েছেন, তা তদন্ত করে দেখা হবে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা এই গ্রাম ও পাশের গ্রামের বাসিন্দা। কিন্তু এই ঘটনায় কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। বিরোধীরা তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেও শাসক শিবিরের বক্তব্য, এটা বড় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। বাংলাকে এবং তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।