Baguihati: দুই ছাত্র খুনের ঘটনায় অনেক প্রশ্ন, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ

Baguihati: দুই ছাত্র খুনের ঘটনায় অনেক প্রশ্ন, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ

8ea125c359ead904abaffc9ec5bdf7ea

কলকাতা: বাগুইহাটির দুই ছাত্রকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা শহরে। এই ঘটনার মূলচক্রী সত্যেন্দ্র এবং আর এক জন ফেরার। তবে শামিম আলি, শাহিন আলি, দিব্যেন্দু দাস নামে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। জানা গিয়েছে, গত ২২ অগস্ট থেকে বাগুইআটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দুই কিশোর নিখোঁজ ছিল। দুই ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, তারা সেই দিনেই থানায় অভিযোগ জানান। যদিও পুলিশের দাবি, অভিযোগ জানানো হয়েছে ২৪ অগস্ট। এই নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন- মমতার ৬ আত্মীয়ের সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলা, ৪ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ হাই কোর্টের

403468398df494dc800eca61ded35104

মঙ্গলবার দুপুরে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দাপ্রধান বিশ্বজিৎ ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ২৪ অগস্ট একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ দায়েরের ১২ দিনের মাথায় প্রথম গ্রেফতারি হয়। সেই ব্যক্তির থেকে গোটা বিষয়টি জানা যায়। পুলিশ জানতে পারে, সত্যেন্দ্র সহ আরও কয়েক জন মিলে বাসন্তী হাইওয়ের ওপর চলন্ত গাড়ির মধ্যে দুই কিশোরকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করে। পরে আলাদা আলাদা জায়গায় দু’টি দেহ ফেলে দেওয়া হয়। পুলিশের দাবি অনুযায়ী, অভিযোগ পাওয়ার আগেই খুন হয়ে গিয়েছিল। এদিকে আবার জানা গিয়েছে, বসিরহাট মর্গে তিনটি অশনাক্ত দেহের তথ্য পায় পুলিশ। অনুমান ছিল, এদের মধ্যে দুজনের দেহ ওই দুই কিশোরের হবে। কিন্তু তা বুঝতে পেরেও কেন বসিরহাট থানার পুলিশের কোনও সন্দেহ হল না, সেই প্রশ্ন উঠছে।

আরও জানা গিয়েছে, ওই দুজনকে অপহরণ করে ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল। যদিও পুলিশ বলছে, পুরোটাই নাটক। মুক্তিপণ নেওয়ার কোনও অভিপ্রায় ছিল না। স্রেফ খুন করতেই অপহরণ করা হয়েছিল তাদের। এই খুনের কারণ অন্য কিছু হতে পারে। দুই কিশোর নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১৩ দিন পর তাদের দেহের সন্ধান মেলে। এদিকে, দুই স্কুল ছাত্রের হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্রর বাড়িতে ঢুকে স্থানীয়রা ইতিমধ্যেই ভাঙচুর চালিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *