কলকাতা: নবান্ন অভিযান ঘিরে যে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এদিন তার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয় বিজেপির আইনজীবীরা। তাদের আবেদনের ভিত্তিতেই দ্রুত এই মামলায় শুনানি শুরু হল। প্রথম পর্বের শুনানিতে বিচারপতির বক্তব্য ছিল, মামলা দায়ের করা না হলে এই মামলায় কোনও নির্দেশ দেওয়া সম্ভব নয়। এবার দ্বিতীয় পর্বের শুনানিতে বিজেপি আইনজীবীদের অভিযোগ সম্পূর্ণ পুলিশের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: একজন বিক্ষোভে, অন্যজনের ঘোষণা, ‘অভিযান শেষ’! দিলীপ-সুকান্ত মতান্তর
তাঁরা দাবি করেছেন, পুলিশ শাসক দলের হয়ে কাজ করেছে। জেলায় জেলায় বিজেপির কর্মী সমর্থকদের ভয় দেখানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। তাঁরা আরও জানিয়েছে, বিভিন্ন রেল স্টেশনে কর্মী সমর্থকদের ট্রেনে উঠতে বাধা দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, মহিলাদের ওপর পুলিশ ‘অত্যাচার’ করেছে। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা, লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। একই সঙ্গে অভিযোগ, রাজ্য বিজেপির সদর দফতরের বিজেপির নেতা কর্মীদের বন্দি করে রাখা হয়েছে! পুলিশ অধিকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ।
যদিও অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এটা করা হয়েছে। আর রেল স্টেশনে পুলিশ বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখিয়ে আটকে দিয়েছিল তার কোনও অভিযোগ নেই। তিনি এও মনে করিয়ে দেন, হাওড়া শিবপুর থানা এবং আদালত চত্বরে কোনও বেআইনি জমায়েত করা যাবে না বলে পুলিশের পক্ষ থেকে আগেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল। গত ১০ সেপ্টেম্বর পুলিশের পক্ষ থেকে বিজেপিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করেছিলেন যে কারণে পুলিশ শুধুমাত্র তাঁকেই নয় যাঁরা আইন ভঙ্গ করার চেষ্টা করেছেন তাদেরই গ্রেফতার করেছে। জানান এজি। একই সঙ্গে তিনি আদালতকে এও জানিয়েছেন, আজকের অভিযানে পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে, পুলিশ কিয়স্ক ভাঙচুর করা হয়েছে, ফুটপাতের রেলিং ভেঙে দেওয়া হয়েছে এমজি রোডে। এছাড়াও হাওড়ার ১৫ জন পুলিশ ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হয়েছেন। এই ধরণের মামলায় মামলাকারীকে আর্থিক জরিমানা করা উচিৎ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।