কলকাতা: বিজেপি নবান্ন অভিযান ঘিরে তো উত্তপ্ত পরিস্থিতি ছিলই, এবার দলীয় দ্বন্দ্বের ছবিও ধরা পড়ল। মঙ্গলবার তিন প্রান্ত থেকে তিনটি বড় মিছিল করে নবান্ন যাওয়ার কথা ছিল বঙ্গ বিজেপির। তিনটি মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মিছিল সঠিকভাবে শুরু হওয়ার আগেই আটক হন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর মোটামুটি তিনটি মিছিল শুরু হয়। দুটিতে নেতারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন, একটি স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দু ছিলেন না। কিন্তু এই অভিযান শেষ হওয়া নিয়ে বিজেপির দ্বন্দ্বের ছবি ধরা পড়ল।
আরও পড়ুন- ছয় শর্তে পুজোর অনুদানে সায় কলকাতা হাই কোর্টের
আসলে শুভেন্দু অধিকারী আটক হওয়ার পর সাঁতরাগাছিতে গোলমাল বেঁধে যায়। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা, ধ্বস্তাধস্তি বাঁধে। জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হয়। এই সময়ই হাওড়া ময়দান থেকে মিছিল নিয়ে এগোতে গিয়ে আটকে যান সুকান্ত মজুমদার। প্রায় একই সময় মিছিল নিয়ে হাওড়া ব্রিজের কাছে বাধাপ্রাপ্ত হন দিলীপ ঘোষ। ঘটনাচক্রে তিনি তখনই ঘোষণা করে দেন যে বিজেপির নবান্ন অভিযান শেষ! সময়টা তখন প্রায় ২.৪০ মিনিট। কিন্তু তখনও তো পথে আটকে আছেন সুকান্ত। রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তিনি এবং তাঁর সঙ্গে থাকা বিজেপি কর্মীরা। তাহলে কী ভাবে শেষ হল অভিযান? প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এই ঘটনাতেই দিলীপ এবং সুকান্তের মতান্তর সকলের সামনে এসেছে প্রকাশ্যে।
যে সময়ে দিলীপ আটকা পড়ে অভিযান শেষের কথা ঘোষণা করেন, তার থেকে প্রায় ঘণ্টাখানেক পর সুকান্ত আটক হন। হিসেব অনুযায়ী, তিনি প্রধান নেতা আটক হওয়ার পরেই এই অভিযান শেষ হয়। কিন্তু তা হওয়ার অনেক আগেই দিলীপের ঘোষণায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে দলের অন্দরেই। যদিও কিছুটা ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করে সুকান্ত ‘অভিযান শেষ’ শুনেই দাবি করেছিলেন, আলাদা আলাদা আন্দোলন, আলাদা আলাদা মিছিল। তাঁকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে। শেষে তাঁকে আটকই করা হয়।