কলকাতা: হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক তিনি। মাত্র ২ মাস হয়েছে তিনি বিধায়ক হয়েছেন, আবার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। তাঁর দলের নেত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মনোরঞ্জন ব্যাপারীর মনে হচ্ছে তিনি রাজনীতিতে এসে ভুল করেছেন! তাও আবার বিধায়ক হওয়ার মাস দুয়েকের মধ্যেই। নিজের ফেসবুক পোস্টেই এমন কথা জানিয়েছেন তিনি। এখন এই নিয়ে শোরগোল। যদিও এই পোস্ট গতকাল রাতের, আজ তিনি নিয়মমাফিক বিধানসভায় গিয়েছেন।
তাহলে ব্যাপারটা কী? ফেসবুকে তৃণমূল বিধায়ক লিখছেন, ”এত অভাবী দু্ঃখী মানুষ, এতো তাদের সমস্যা। তাদের সকল আশা ভরসার কেন্দ্রে এখন এসে দাঁড়িয়ে পড়েছি আমি। আমাকে ঘিরে তাদের অনেক আশা প্রত্যাশা। যেন আমার কাছে কোন জাদুকাঠি আছে যা দিয়ে তাদের সব সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারি… যখন দূরে ছিলাম, যখন তেমন ভাবে কিছু জানতাম না, খানিক সুখে ছিলাম। এখন সব দেখে জেনে – সরাসরি যুক্ত হয়ে আর কোনো রাতেই ভালো মতো ঘুমাতে পারছি না।কী এক কষ্টে মাঝরাতে উঠে পায়চারী করতে বাধ্য হই… আমি হাঁপিয়ে যাচ্ছি। সত্যিই আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। মনে হচ্ছে রাজনীতিতে এসে আমি বোধহয় ঠিক করিনি।” তিনি আরও লিখছেন, ”যে বেকার সে ভাবছে চাইলেই আমি তাকে একটা চাকরি দিয়ে দিতে পারি, যার ভাঙা ঘর তাকে দিতে পারি একটা মাথা গোঁজার সুন্দর আবাস। যে অসুস্থ তাকে দিতে পারি সুচিকিৎসা। সেই আশায় তারা সূর্য ওঠার সাথে সাথে এসে আমার দরজায় দাঁড়িয়ে পড়ছে। যে ভিড় রাত এগারোটা বারোটার আগে কম হয়না। তাদের কাতর কান্না, হাহাকার আমার বুকে যেন ধারালো চাকুর মতো চিরে চিরে বসে যায়। রক্ত ক্ষরন ঘটায়।” আসলে সাধারণ মানুষের অবস্থা এত কাছ থেকে উপলব্ধি করতে পেরে তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছেন মনোরঞ্জন, তা স্পষ্ট হচ্ছে।
আরও পড়ুন- ৭ দিনের মধ্যে মেধা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ! উচ্চ প্রাথমিক মামলায় হাইকোর্টের
যদিও এর সঙ্গে রাজনীতি ছাড়ার বা দল ছাড়ার কোনও রকম সম্পর্ক নেই। এই ফেসবুক পোস্ট শুধুমাত্র তাঁর সাধারণ মানুষের সম্পর্কে তাঁর ভাবনা, উপলব্ধি। তিনি আজ বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন, সেখান থেকে ছবিও পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। সেই ছবি প্রেক্ষিতে তিনি লিখেছেন, ”এসে গেছি বিধান সভায়। বসে আছি লাষ্ট বেঞ্চে।জীবনে প্রথমবার এখানে প্রবেশ পেয়েছি।অনক কিছু শিখতে আর জানতে হবে।তারপর বলতে হবে।”