কলকাতা: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় সাম্মানিক অর্থ নিতে অস্বীকার প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরের। সিটের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁকে সাম্মানিক ১০ লক্ষ টাকা দিতে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু সেই অর্থ তিনি নিতে অস্বীকার করেছেন। তবে সাম্মানিক অর্থ না নিলেও মঞ্জুলা চেল্লুর সামলাবেন সিটের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব।
আরও পড়ুন- NHRC-এর সুপারিশে স্বীকৃতি, ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় CBI তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টে
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট) গঠন করে রাজ্য সরকার। আগেই বলা হয়েছিল অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির তত্ত্বাবধানে কাজ করবে সিট৷ সেই মতো কলকাতা ও বম্বে হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরকে বসানো হয় সিট-এর মাথায়৷ সিট-এর তদন্তের তদারকি করছেন তিনিই৷ ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় খুন, অস্বাভিবিক মৃত্যু, ধর্ষণের মত অভিযোগগুলির তদন্ত ভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ অন্যদিকে কম গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখার জন্য রাজ্যকে সিট গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়৷ শুধু তাই নয়, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য ১০ আইপিএস নিয়োগ করে নবান্ন। রাজ্যকে ভাগ করা হয় পাঁচটি জোনে। প্রতিটি জোনের দায়িত্বে ২ জন আইপিএস।
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা: হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ‘সুপ্রিম’ ভাবনা রাজ্যের
তবে কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল এই মামলায় তাতে ‘নাখুশ’ ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। খোদ দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনের অধীনে এ রাজ্যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে৷ যা নিয়ে তারাও উদ্বেগে ছিলেন৷ কিন্তু এই ঘটনা ছিল ভোট পূর্ববর্তী৷ ভোট পরবর্তী কোনও হিংসা রাজ্যে হয়নি৷ ভোট পূর্ব হিংসার দায় নির্বাচন কমিশনের, তাঁদের নয়৷ ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার রায় প্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেন, তিনি অখুশি৷ আইন-শৃঙ্খলা সম্পূর্ণটাই রাজ্যের বিষয়৷ এই বিষয়ে বারবার সিবিআই হস্তক্ষেপ কাম্য নয়৷