কলকাতা: ভবানীপুর উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে মনোনয়ন জমা দেন তিনি৷ সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল সার্ভে বিল্ডিং চত্বর৷ বেলা ২টো নাগাদ সার্ভে বিল্ডিংয়ে পৌঁছয় তাঁর কনভয়৷ বাড়িতে পুজো সেরে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন মমতা৷
আরও পড়ুন- ভবানীপুরে প্রচার করবেন বিজেপির ‘তারকারা’, নাম রয়েছে বাবুলেরও!
১টা ৫৭ মিনিটে সার্ভে বিল্ডিংয়ের সামনে গাড়ি থেকে নামেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এর পর লিফট করে ৩ তলায় ওঠে যান৷ সেখানে মহাকুমা শাসকের ঘরে গিয়ে মনোনয়ন জমা দেন তিনি৷ ভবানীপুরের উপনির্বাচন রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ৷ নন্দীগ্রামে পরাজিত হওয়ার পর ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এটা মর্যাদার লড়াই৷ যদিও নন্দীগ্রামের ফল নিয়ে বিতর্ক রয়েছে৷ বুধবারের কর্মি সম্মেলনেও তিনি অভিযোগ করেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন৷ ভোট গ্রহণ থেকে ভোট গণনা পর্যন্ত বিস্তর কারচুপি হয়েছে৷ সে কারণেই হাইকোর্ট পর্যন্ত মামলা গড়িয়েছে৷ তবে ভবানীপুর নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল৷
উল্লেখ্য, ২০১১ এবং ২০১৬ সালে ভবানীপুর থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পর ২০২১ সালে তিনি নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন৷ আর ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়৷ ৩০ হাজার ভোটে জয়ী হন শোভনদেব৷ উল্লেখ্য, ভবানীপুর বিধানসভার ৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬টিতেই লিড পেয়েছিলেন শোভনদেব৷ দুটিতে এগিয়ে ছিল বিজেপি৷ এবার ৮টা ওয়ার্ডেই এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে তৃণমূলের৷ চলছে ওয়ার্ড ভিত্তিক আলোচনা পর্ব৷ ববি হাকিমের হাতে দেওয়া হয়েছে ৩টি ওয়ার্ড৷ দায়িত্বে রয়েছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, দেবাশীষ কুমার, কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারা৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রেকর্ড মার্জিনে জেতানোই তাঁদের লক্ষ্য৷
আরও পড়ুন- পুলিশি অতিসক্রিয়তার অভিযোগে হাই কোর্টের দ্বারস্থ শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলাম
সবার আগে মনোনয়ন দিয়ে বাম-বিজেপি’কে ইতিমধ্যেই পিছনে ফেলেছে তৃণমূল৷ প্রচারেও তৎপরতা তুঙ্গে৷ ৮০ শতাংশ দেওয়াল প্রায় লেখা হয়ে গিয়েছে৷ তৃণমূল জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী হলেও তাদের বার্তা, আত্মবিশ্বাস ভালো তবে আত্মতুষ্টির অবকাশ নেই৷ বিজেপি’কে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না৷ এদিকে, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, এজেন্সি ব্যবহারের মতো একাধিক ইস্যুকে বিজেপি’র বিরুদ্ধে মাঠে নামতে চায় তৃণমূল৷ তেমনই রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পও তৃণমূলের ধারালো অস্ত্র৷