কলকাতা: পুলিশি অতি সক্রিয়তরা অভিযোগে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন শিক্ষক নেতা তথা শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক ইমদুল ইসলাম৷ ইতিমধ্যেই বিচারপতি রাজশেখর মান্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি৷ মইদুল আদালতকে জানান, গতকাল রাতে প্রায় ২০০ জন পুলিশ এসে তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়৷ এবং যে ভাষায় তাঁর কথা বলেছেন বা যে আচরণ ও অত্যাচার করা হয়েছে, তাতে অবিলম্বে হাই কোর্টের হস্তক্ষেপ করা উচিত৷ যথা়থ পদক্ষেপ করুক আদালত৷ আজই জরুরি ভিত্তিতে শুনানির সম্ভাবনা৷ সম্ভবত, বিকেল ৩টে মইদুল মামলা শুনবেন বিচারপতি৷
আরও পড়ুন- ক্যাম্পে ৩ কোটিরও বেশি মানুষ! ‘দুয়ারে সরকার’ নিয়ে প্রবল উচ্ছ্বসিত মমতা
এদিন মইদুল বলেন, একজন শিক্ষককে কি আগে থেকে নোটিশ দিয়ে বলা যেত না, তাঁর অপরাধ কী? সহ রকম সহযোগিতা করব বলে জানিয়েছি৷ তার পরেও এই হামলা কেন? এর পরেই মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা৷ অবিলম্বে মামলা দায়ের করে তাঁর এজলাসে আসার নির্দেশ দিয়েছেন বিতারপতি৷ মইদুল ইমলামের অভিযোগ, প্রচুর পুলিশ এসে গতকাল রাতে তাঁকে বাড়িতে কার্যত গৃহবন্দি করে রাখে৷ কেন তাঁর বাড়িতে এই পুলিশ বাহিনী এল তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ তাঁর অভিযোগ কী তা জানিয়ে নোটিশ দিয়ে পুলিশ জেকে পাঠাতে পারত৷ তা না করে কেন বাড়ি ঘেরাও করা হল? অভিযোগ, পুলিশ কোনও আইনি প্রক্রিয়া মেনে চলেনি৷
আরও পড়ুন- ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে দুই প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা- শ্রীজীব, জেনে নিন তাঁদের পরিচয়
এদিকে, মইদুলের গ্রেফতারি নিয়ে চরম নাটকীয়তা হয় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে। ঘণ্টা ২ ধরে চলে টানাপোড়েন। মইদুলকে বাইরে বেরিয়ে আসতে অনুরোধ করে পুলিশ৷ কর্মীরা। কিন্তু রাতে পুলিশের সঙ্গে যেতে রাজি হননি মইদুল।তিনি জানান, সকালে যাবেন। দীর্ঘ বচসা হয় তাঁদের মধ্যে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, বিকাশ ভবনের সামনে শিক্ষিকাদের বিষ খাওয়ার ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মইদুলের বিরুদ্ধে।