কলকাতা: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে নয়া মোড়৷ শুক্রবার ভার্চুয়ালি নিউটাউনের চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সামনে আরও একবার প্রকট হয়ে গেল রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত৷ রাজ্যপাল কেন্দ্রের গাইডলাইন জানেন না বলে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, “আমরা কেন্দ্রের গাইডলাইন মেনেই কাজ করেছি। কিন্তু রাজ্যপাল সেটা না জেনেই প্রশ্ন করেছেন।” নরেন্দ্র মোদীর সামনেই এদিন তাঁর রাজ্যপালকে বিঁধলেন মমতা৷
আরও পড়ুন- ‘মানুষের জীবন থেমে না থাকলে ভোট কেন?’ আদালতে সওয়াল কমিশনের
এদিন প্রধানমন্ত্রীর সামনে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে রাজ্যের একাধিক পদক্ষেপ তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেই সঙ্গে একহাত নেন রাজ্যপালকে৷ তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের জারি করা নির্দেশিকার ৯৯ শতাংশ মেনে চলার চেষ্টা করেছে রাজ্য। রাজনৈতিক মতভেদ থাকা সত্বেও সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্রের দেওয়া যাবতীয় নিয়মবিধি পালন করার চেষ্টা করা হয়। অথচ রাজ্যপাল সেসব গাইডলাইন না জেনেই প্রশ্ন তোলেন।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর সামনে চিকিৎসক সঙ্কটের ইস্যুটিও তুলে ধরেন মমতা৷ করোনা কালে চিকিৎসকদের কোটা বাড়ানোর আরজিও জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ রাজ্যের চিকিৎসকের সঙ্কট রয়েছে৷ একই হাসপাতালের ৭৫ জন চিকিৎসক একসঙ্গে কোভিড আক্রান্ত হলে আমরা কীভাবে সামাল দেব? কী ভাবে পরিষেবা দেব? এই অবস্থায় চিকিৎসকের কোটা বাড়ানোর জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’’
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আমাদের অফিসারও লাগবে। কেন্দ্রের পরামর্শ মেনে বাইরে থেকে লোক নিয়েছি আমরা৷ কিন্তু তাতে আবার প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল৷ তিনি জানতে চেয়েছেন, এমনটা কেন হল? কোন প্রক্রিয়ায় এটা করা হল? রাজ্যপাল আদতে জানেন না যে আমি কেন্দ্রের গাইডলাইন মেনেই নিয়োগ করেছি৷” প্রসঙ্গত, বিভিন্ন দফতরে কনসালটেন্ট নিয়োগের জন্য গত মাসেই নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল৷ রাজ্যের প্রায় ৪০টি দফতরে কনসালটেন্ট ও সিনিয়র কনসালটেন্ট নিয়োগ কতটা যুক্তিযুক্ত, সেই প্রশ্ন তুলে মুখ্যসচিবকে তলব করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷