কিছু ভুঁইফোড় নেতা আখের গুছিয়ে পালিয়েছে, ইঁদুর থেকে বাঘ হয়ে ঋষিকেই খেতে আসছে, খোঁচা মমতার!

কিছু ভুঁইফোড় নেতা আখের গুছিয়ে পালিয়েছে, ইঁদুর থেকে বাঘ হয়ে ঋষিকেই খেতে আসছে, খোঁচা মমতার!

রায়গঞ্জ:  উত্তরদিনাজপুরে জনসভা থেকে তৃণমূল কর্মীদের কাজ করার মন্ত্র দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিজেপিকে নিশানায় রেখে তুলোধোনা করলেন দলত্যাগীদের৷ 

আরও পড়ুন-  বিধানসভার প্রার্থী হতে চান না! মমতাকে চিঠি লিখে জানিয়ে দিলেন বিধায়ক

এদিন তৃণমূল কর্মীদের উৎসাহিত করে মমতা বলেন, আমদের তিনটি মন্ত্র মেনে চলতে হবে৷ প্রথমত, খুব ভালো করে কাজ করতে হবে৷ দ্বিতীয়ত, মাথা উঁচু করে চলতে হবে৷ আর তৃতীয়ত মনে রাখতে হবে আমরা মানুষের সেবক৷ মানুষের সেবায় কাজ করতে হবে৷ মানুষের ভালোর জন্য কাজ করতে হবে৷ 

তিনি বলেন, ‘‘আমি কোনও নেতা নই৷ নিজেকে আমি দলের কর্মী ভাবি৷ যখন সরকার চালাই তখন নিজেকে মুখ্যমন্ত্রী ভাবি না৷ সাধারণ মানুষ ভাবি৷ কেউ যদি ভাবে আমি বড় নেতা সেটা ভুল৷’’ একটা রাজনৈতিক দল অনেক লোক নিয়ে হয়৷ নানা ধর্ম-বর্ণ-জাতিকে এক সঙ্গে নিয়ে চলতে হয়৷ সেখানে যদি মনে করি একা থাকব তাহলে সেটা ভুল৷

 
দলত্যাগী নেতাদের নিশানায় রেখে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেসের স্বচ্ছতা আছে৷ যাঁরা কাজ করে দল তাঁদেরই টিকিট দেয়৷ কারও কাছে মাথা নত করে টিকিট দেয়নি, দেবেও না৷ কিছু ভুঁইফোড়কে কাজ করতে পাঠিয়েছিলাম যাঁরা আখের গুছিয়ে পালিয়েছে৷ ইঁদুর থেকে বাঘ হয়ে ঋষিকেই খেতে আসছে৷’’  

আরও পড়ুন- বাংলায় পদ্ম চাষ শুরু হবেই! হুঙ্কার দিলেন নাড্ডা

রাজনীতিতে তিনটি কথা আছে৷ লোভী, ভোগী আর ত্যাগী৷ তাঁর পরামর্শ, যাঁরা লোভী তাঁদের বাদ দিন৷ ভোগীদের ঘরে থেকে ভোগ করতে বলুন৷ আর ত্যাগীদের বলুন মানুষের কাজ করতে৷ মমতা বলেন, ‘‘আমিও ছোট থেকে রাজনীতি করি৷ কিন্তু আমার কখনও লোভ হয় না৷’’

তাঁর কথায়, বিজেপি’র অনেক টাকা আছে, তাই খুব অহঙ্কার করে৷ কিন্তু টাকা দিয়ে মানুষকে তুলনা করা চলে না৷ টাকার চেয়ে মানুষত্বের দাম অনেক বেশি৷ মানবিকতার দাম অনেক বেশি৷ টাকা দিয়ে চরিত্র গঠন হয় না৷ এত খুনোখুনি মারামারি করে কি হবে? ভাবছে যেমন করে হোক ক্ষমতা দখল করতে হবে৷ এত সস্তা নয়৷ এটা দিল্লি কা লাড্ডু নয়৷ এটা বাংলা৷ আর বাংলাই বাংলাকে শাসক করবে৷   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × three =