কোভিড নিয়ন্ত্রণে ‘মনুমেন্টাল ফেলিওর’ হয়েছে, কেন্দ্রকে তোপ মমতার

কোভিড নিয়ন্ত্রণে ‘মনুমেন্টাল ফেলিওর’ হয়েছে, কেন্দ্রকে তোপ মমতার

কলকাতা:  কোভিড নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে শহিদ মঞ্চ থেকে সুর চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, কোভিড নিয়ন্ত্রণে বিজেপি সরকারের মনুমেন্টাল ফেলিওর হয়েছে৷ 

আরও পড়ুন- ‘যত সময় নষ্ট করবেন, তত দেরি হবে’, ফ্রন্ট নিয়ে চিদাম্বরম-পাওয়ারকে তৎপরতার আর্জি মমতার

এদিন ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,  কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে জাতীয় স্তরে পরিকাঠামোর কোনও উন্নতি করা যায়নি। ওষুধ নেই, টিকা নেই, অক্সিজেন নেই৷ কিছু বোঝার আগেই কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ ৪ লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে৷ উত্তরপ্রদেশে কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৃতদেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ এর পরেও প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তরপ্রদেশ দেশের সেরা রাজ্য৷ ওদের কোনও লজ্জা নেই৷ ওঁরা মৃতদেরও সম্মান জানাতে পারে না৷ গঙ্গায় ভেসে আসা দেহ কিছুটা বিহার আর কিছুটা আমরা দাহ করেছি৷ আপনারা কোভিড মোকাবিলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ৷ মনুমেন্টাল ফেলিওর হয়েছে৷ কোভিড মোকাবিলার বদলে বাংলায় প্রতিদিন ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা৷ 

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যের চাহিদা অনুযায়ী ভ্যাকসিন পাঠানো হচ্ছে না৷ কোভিডে এখনও পর্যন্ত দেশে চার লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ আগে থেকে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করলে অনেক মৃত্যু আটকানো যেত বলে দাবি তাঁর। কোভিড নিয়ন্ত্রণে পিএম কেয়ার্স ফান্ডের টাকা কোথায় গেল আজ সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two + twelve =

‘যত সময় নষ্ট করবেন, তত দেরি’, ফ্রন্ট নিয়ে চিদাম্বরম-পাওয়ারকে তৎপরতার আর্জি মমতার

‘যত সময় নষ্ট করবেন, তত দেরি’, ফ্রন্ট নিয়ে চিদাম্বরম-পাওয়ারকে তৎপরতার আর্জি মমতার

কলকাতা: ২১ জুলাই শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে ২৪-এর লড়াইয়ের ডাক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সভা মঞ্চ থেকে প্রকাশ্যে পি চিদাম্বরম, শরদ পাওয়ারকে বৈঠকে বসার আহ্বান জানালেন তিনি৷ বললেন,  ‘যত সময় নষ্ট করবেন, তত দেরি হয়ে যাবে৷

আরও পড়ুন- পেগাসাস আতঙ্কে ফোনের ক্যামেরায় ‘প্লাস্টার’ লাগালেন মমতা! দেখালেন নিজেই

আগামী সপ্তাহেই দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর দিল্লির সফরের মাঝেই বিজেপি বিরোধী দলগুলির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান তিনি৷ এদিন সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সম্ভব হলে এই সময়ের মধ্যে একটা বৈঠকের ব্যবস্থা করুন৷ তাঁর কথায়, ‘গণতন্ত্র বিপদে৷ ২০২৪-এ কী হবে জানি না৷ তাই বলছি, যত সময় নষ্ট করবেন তত দেরি হয়ে যাবে৷ বিরোধীদের নিয়ে দ্রুত ফ্রন্ট গঠন করতে হবে৷ আমি দু’ বছর দিল্লি যেতে পারিনি৷ এবার গিয়ে বিরোধী দলগুলির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে চাই৷’’

আরও পড়ুন- নজরে ’২৪! ফ্রন্ট ক্ষমতায় এলে বিনামূল্যে রেশন-চিকিৎসা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মমতার

উল্লেখ্য এদিন তৃণমূলের শহিদ দিবসে উপস্থিত হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার৷ তাঁদের উদ্দেশেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘২৭, ২৮, ২৯ এ বৈঠক ডাকা যায় কিনা আপনারা দেখুন৷ দেশের অবস্থা কী আমাদের ভেবে দেখা দরকার৷’’ সেই সঙ্গে বিরোধী নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘রোগ যদি বাড়াবাড়ি হয়ে যায়, তখন ডাক্তার ডেকে লাভ নেই৷ রোগ জাঁকিয়ে বসার আগেই প্রতিরোধ করতে হবে৷’     
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − seven =

‘নির্বাচন থেকে অনেক শিক্ষা পেয়েছি’, নাম না করে ‘গদ্দার’ শুভেন্দুকে হুঁশিয়ারি মমতার

‘নির্বাচন থেকে অনেক শিক্ষা পেয়েছি’, নাম না করে ‘গদ্দার’ শুভেন্দুকে হুঁশিয়ারি মমতার

কলকাতা: নাম না করে একুশের মঞ্চ থেকে আরও একবার শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ‘গদ্দার’ বলে তোপ দাগলেন তিনি৷ 

আরও পড়ুন- ‘বিজেপি হাইলোডেড ভাইরাস’, ২১-এর মঞ্চ থেকে তীব্র আক্রমণ মমতার

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলায় এখনও অনেক কাজ বাকি আছে৷ পেরিয়ে আসা বাংলার নির্বাচন থেকে অনেক শিক্ষা পেয়েছি৷ যাঁরা গদ্দারি করেছিল তাঁরা অনেক বড় বড় কথা বলছে৷ ফোন ট্যাপিংয়ের কথাও বলছে৷ এই গদ্দারদের একদিন রাজনৈতিক ভাবে বিদায় দেবে মানুষ৷ তাঁর কথায়, বিজেপি-তেই গদ্দারদের জন্ম হয়৷ বিজেপি সভ্যতা, সংস্কৃতি জানে না৷ দেশকে জানে না৷ মমতা বলেন, আমরা ভয় পাব না৷ কারণ, ‘যো ডরতে হ্যায় ও মরতে হ্যায়৷’ তাঁর কথায, এগিয়ে যাওয়ার জন্য লড়াই করতে হবে৷ এক যোগে বিজেপি’র বিরুদ্ধে এই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে৷ হারলে বা ভয় পেলে চলবে না৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × four =

‘বিজেপি হাইলোডেড ভাইরাস’, ২১-এর মঞ্চ থেকে তীব্র আক্রমণ মমতার

‘বিজেপি হাইলোডেড ভাইরাস’, ২১-এর মঞ্চ থেকে তীব্র আক্রমণ মমতার

কলকাতা:  একুশের সভা থেকে ভাষণের পরতে পরতে বিজেপি’কে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, গণতন্ত্রের বদলে গোয়েন্দাগিরি চলছে৷ সবার মুখ বন্ধের চেষ্টা হচ্ছে৷ মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করলে রবি ঠাকুরের কবিতার মাধ্যমে সবটা ব্যক্ত করব৷ যোগী তো বড় মহাপুরুষ যে, রবীন্দ্রনাথকেই পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছেন৷ কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করেন বিজেপি কেমন দল? তাহলে বলব, বিজেপি হাইলোডেড ভাইরাস৷ করোনা ভাইরাসের চেয়েও বেশি ভাইরাস বিজেপি’তে আছে৷ 

 

আরও পড়ুন- আমার ফোন ট্যাপ, সমস্ত কিছু রেকর্ড করা হচ্ছে, সুর চড়ালেন মমতা

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ফোন ট্যাপ করেও বিজেপি বলছে যা করেছি ঠিক করেছি৷ কিছু বোঝার আগেই কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ ৪ লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে৷ ওষুধ নেই, টিকা নেই, অক্সিজেন নেই৷ কোভিডে মৃতদের দেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ এর পরেও প্রধানমন্ত্রী বলছেন উত্তরপ্রদেশ দেশের সেরা রাজ্য৷ ওদের কোনও লজ্জা নেই৷ ওঁরা মৃতদেরও সম্মান জানাতে পারে না৷ গঙ্গায় ভেসে আসা দেহ কিছুটা বিহার আর কিছুটা আমরা দাহ করেছি৷ আপনারা কোভিড মোকাবিলায় ব্যর্থ৷ কোভিড মোকাবিলার বদলে বাংলায় প্রতিদিনব ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা৷  সেই সঙ্গে তাঁর বার্তা, তবে আমাদের নিজেদের লক্ষ্য ভুললে চলবে না৷ দেশ, দেশের মানুষ, প্রতিটি রাজ্যকে আমাদের বাঁচাতে হবে৷ যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠানোকে বাঁচাতে হবে৷   
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − one =

বিজেপি স্বৈরাচারী, মানি-মাসেল পাওয়ার দিয়েও বাংলার মানুষকে রুখতে পারেনি: মমতা

বিজেপি স্বৈরাচারী, মানি-মাসেল পাওয়ার দিয়েও বাংলার মানুষকে রুখতে পারেনি: মমতা

কলকাতা: জাতীয় স্তরের নেতৃত্বকে কৃতজ্ঞতা ও বাংলার মা-মাটি-মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে ২১ জুলাইয়ের ভাষণ শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিন প্রথম থেকেই আক্রমণ শানাতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, অর্থ শক্তি, মাফিয়া শক্তি, এজেন্সি শক্তি, সমস্ত চোখরাঙানি চুরমার করে বাংলার মানুষ তৃণমূলকে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এনেছে৷ রবীন্দ্রনাথের কবিতার লাইন তুলে সকলকে ধন্যবাদও জানান তিনি৷ 

আরও পড়ুন- রাজধানীতে শহিদ দিবস, তৃণমূলের মঞ্চে শরদ, চিদম্বরম, দিগ্বিজয়! কৃতজ্ঞতা জানালেন ‘দিদি’

তিনি বলেন, বাংলা দখলে বিজেপি নেতারা ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেছে৷ কিন্তু বাংলার মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছে৷ বিজেপি সর্বত্র স্বৈরাচার চালাচ্ছে৷ আজ ত্রিপুরায় আমাদের শহিদ দিবস পালন করতে দেওয়া হয়নি৷ অন্য কোনও দলকে কোনও কর্মসূচি পালন করতে দেয় না ওঁরা৷ ত্রিপুরাই তার প্রমাণ৷ এটাই কি গণতন্ত্র? 

তিনি আরও বলেন, এরাজ্যে ভোট পরবর্তী কোনও হিংসা হয়নি৷ মানবাধিকার কমিশনের হয়ে কিছু বিজেপি’র সদস্য কাজ করেছে৷ সম্পূর্ণ ভুল রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে৷ যা হয়েছে সবটাই প্রি-পোল৷ ভোটে বিজেপি কী করেছে সেটাও সবাই দেখেছে৷ সমস্ত পুলিশ কর্তাদের বদলি করা হয়েছিল৷ নির্বাচন কমিশন বিজেপি’র পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছিল৷ গণতন্ত্র সঙ্কটে৷  
 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 + 19 =