‘এবার ভোটে খেলা হবে তো?’ স্লোগান তুললেন খোদ মমতা

‘এবার ভোটে খেলা হবে তো?’ স্লোগান তুললেন খোদ মমতা

ডানলপ: প্রকাশ্য জনসভায় এবার ‘খেলা হবে’ স্লোগান খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়৷ বুধবার হুগলীর ডানলপে সভা মঞ্চ থেকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বললেন, ‘‘কী মা-বোনেরা, ভাইয়েরা খেলা হবে? খেলা হবে একুশের সাধারণ নির্বাচনে৷’’ 

আরও পড়ুন-  ‘৫-১০ টাকা তুললে বলছে তোলাবাজ, আপনারা কী?’ প্রশ্ন মমতার

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই খেলায় একদিকে থাকবে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি৷ আর অন্যদিকে থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস৷ আমি থাকব গোলরক্ষক হিসাবে৷ আমি দেখতে চাই কত গোল ওরা করতে পারে৷’’ এর পরেই আত্মবিশ্বাসের সুরে তিনি বলেন, ‘‘ওঁরা একটা গোলও করতে পারবে না৷ বার পোস্টের উপর দিয়ে সব বেরিয়ে যাবে৷ খেলা অত সস্তা নয়৷’’

এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও একহাত নেন মমতা৷ তিনি বলেন, ‘‘দু’দিন আগে এই মাঠেই এসেছিলেন মামনীয় প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি নাকি দেশের সবচেয়ে বড় নেতা৷ নেতাজি, গান্ধীজী, আম্বেদকরের চেয়েও তিনি বড়! তাই সভায় এসে চালাকি করেন তিনি৷’’ কিন্তু কী সেই চালাকি? সেই ব্যাখ্যাও এদিন দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী যেখানে বক্তৃতা দেন, তার পাশে একটা মাইক থাকে৷ সেই মাইকে ট্রান্সপারেন্ট কাঁচ লাগানো থাকে৷ উনি ওঁনার বক্তব্য লিখে নিয়ে আসেন৷ আর সেটা দেখেই বলেন, আপনারা ভালো আছেন তো? কিন্তু এক লাইন বাংলা বলে বাংলার মন জয় করা যায় না৷ বাংলাকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসতে হয়৷’’ 

মমতা আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বলে গিয়েছেন এখানকার মা বোনেরা নাকি সুরক্ষিত নয়৷’’ এই কথার রেশ ধরেই তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘বিজেপি’র দলে মেয়েরা সুরক্ষিত তো? মা-বোনেরা সুরক্ষিত আছে তো?’’ তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘‘দেশের কোন রাজ্যেই মেয়েরা সুরক্ষিত নয়৷ সব জায়গাতেই তারা অরক্ষিত৷ বাংলায় মা বোনেরা সুরক্ষিত আছে বলে হিংসা হচ্ছে৷’’ 

আরও পড়ুন- আদালতে যাওয়ার সময় ধাক্কাধাক্কি! পুলিশের বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ রাকেশের

তিনি জানান, রেলমন্ত্রী থাকার সময়েই তিনি তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল লাইন করে দিয়ে গিয়েছি৷ তার হাত ধরেই ডানলপ থার্ড লাইন, ডানলপ থেকে অমৃতসর ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর, দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া মেট্রো রেল, তারাতলা-জোকা মেট্রোরেল, গরিয়া থেকে দমদম মেট্রো হয়েছে৷ তিনি বলেন, বুকের পাটা থাকলে সেই কথা বলুক বিজেপি৷     

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *