ধর্নার আগে সিঙ্গুরে মমতা, 'পথশ্রী-রাস্তাশ্রী' প্রকল্পের সূচনায় আবেগতাড়িত মুখ্যমন্ত্রী

সিঙ্গুর: আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামীণ এলাকায় নতুন রাস্তা নির্মাণ এবং মেরামতের জন্য সরকার 'পথশ্রী-রাস্তাশ্রী' প্রকল্প চালু করেছে। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুরে ‘পথশ্রী-রাস্তাশ্রী’ প্রকল্পের সূচনা করেন। উল্লেখযোগ্য বিষয়, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে ২৯ ও ৩০ মার্চ দু’দিন ধরে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসবেন মমতা। তার আগেই তিনি গেলেন সিঙ্গুরে। পথ আন্দোলনই তাঁকে রাজনৈতিক জগতে বিশেষ মাত্রা দিয়েছে। আর তার জন্য সিঙ্গুরের অবদান যে আছেই তা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন- নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনার তদন্তে সিবিআই, নির্দেশ হাইকোর্টের
''আজ এলাম এখানে, ধর্নার আগে একবার সিঙ্গুরের মাটি ছুঁয়ে গেলাম।'' এদিন প্রকল্পের উদ্বোধন করতে এসে সিঙ্গুরবাসীর উদ্দেশ্যে এই কথাই বলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রতনপুর এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী ইটের ওপর বালি-সিমেন্ট লেপে ‘রাস্তা’র নতুন সূচনা করলেন। সিঙ্গুরে ‘পথশ্রী-রাস্তাশ্রী’ উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে অবশ্য এদিন সিপিএমকে নিশানা করতে ছাড়েননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে বলতে শোনা যায়, জমি রক্ষার দাবিতে কোনও এক রমজান মাসে তিনি এখানে ধর্নায় বসেছিলেন। সেই সময় এক রাতে তারা শুয়েছিলেন কিন্তু ঘুমোননি। কলকাতার দিক থেকে আসা একটা বড় লরি প্রায় তাদের চাপা দিয়ে দিচ্ছিল। সিপিএমের পরিকল্পনায় সব হয়েছিল বলেই দাবি তাঁর।
প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পে ২২টি জেলায় মোট ৮ হাজার ৭৬৭টি রাস্তা নির্মাণ এবং মেরামতের কাজ হবে। যার মধ্যে ৭ হাজার ২১৯টি নতুন রাস্তা তৈরি এবং ১ হাজার ৫৪৮টি রাস্তা সারাই করা হবে। এই প্রকল্পের প্রচারে ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে নবান্ন। প্রকল্পের অগ্রগতি, সাফল্য তুলে ধরতে সমাজমাধ্যমে প্রচার চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।