বেনজির ভাবে ২৪ ঘণ্টা মমতার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা, প্রতিবাদে ধরনায় তৃণমূল সুপ্রিমো

বেনজির ভাবে ২৪ ঘণ্টা মমতার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা, প্রতিবাদে ধরনায় তৃণমূল সুপ্রিমো

কলকাতা: প্রকাশ্য জনসভা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও থেকে শুরু করে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হতে না দেওয়ার আবেদন৷ ভোট প্রচারে মমতার বক্তব্যকে ঘিরে তুলকালাম৷ যার জেরে তাঁকে নোটিশ পাঠায় নির্বাচন কমিশন৷ তবে কমিশন তাঁর দেওয়া জবাবে সন্তুষ্ট নয়৷ যার জেরে সোমবার রাত ৮টা থেকে আজ রাত ৮টা পর্যন্ত নজির বিহীনভাবে তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়৷ কমিশনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ 

আরও পড়ুন- ‘দুয়ারে রেশন’ ব্যবসার ফাঁদ, মাসে ১ কোটি কামাই ’ তীব্র কটাক্ষ মিঠুনের, পাল্টা দিলেন মমতা

১২ এপ্রিল রাত ৮টা থেকে ১৩ এপ্রিল রাত ৮টা পর্যন্ত তাঁর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷  কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদে ধরনায় বসেন দলনেত্রী৷ প্রসঙ্গত, নির্বাচনী এক জনসভায় মুসলিম ভোটারদের একজন হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি একাধিকবার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানায়৷ তাঁদের বক্তব্য  তিনি উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে শীতলকুচির ঘটনার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙ্গুল তোলে বিজেপি। বলা হয় তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার নির্দেশ দিয়েছিলেন জনসমক্ষে। তাঁর উস্কানি মূলক মন্তব্যের জেরেই শীতলকুচির মতো ঘটনা ঘটেছে। সেই প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বঙ্গ বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি খারিজ করে দেওয়ার আবেদনও জানানো হয় নির্বাচন কমিশনে। তবে আপাতত একদিনের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। 

আরও পড়ুন- ‘বাহিনীর বিরুদ্ধে দলের কর্মীদের উত্তেজিত করছেন দিদি’, শীতলকুচিকাণ্ডে দাবি মোদীর!

অন্যদিকে মমতার ধরনায় বসাকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট, নির্বাচন কমিশন, কোনও কিছুরই পরোয়া করেন না। কোনও নিয়ম মানেন না। সে কারণেই একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ধরণায় বসছেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *