পটাশপুর: বিজেপি যে অন্যান্য রাজ্যে ভোট লুট করে এবং বাংলাতেও করবে, তা অনেক আগে থেকেই বলে আসছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকালের জনসভা থেকে ভোট বাক্স পাহারা দেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। এদিনও পটাশপুরের জনসভা থেকে সেই একই বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসভায় আগত সবাইকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী যাই বলুক না কেন, সকলে যেন ভোট বাক্স পাহারা দেন। মমতার আশ্বাস, বাংলায় জিতলে দিল্লিতেও পরিবর্তন আনবেন তিনি। প্রসঙ্গত, গতকালের এক জনসভায় থেকেও একই রকমের বার্তা দিয়েছিলেন মমতা।
আজ এগরা থেকে নিজের জেলা সফর শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে জনসভা করে ইতিমধ্যেই বিজেপিকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছেন তিনি। পটাশপুর থেকেও সেই ভঙ্গি বদলাল না এতোটুকু। এদিনের জনসভায় তিনি বললেন, বিজেপি একটি অত্যাচারী সরকার এবং কৃষক বিরোধী সরকার। তাদের ভোট দিলে বাংলায় অশান্তি আসবে এবং বাংলার মা-বোনেরা সুরক্ষিত থাকবে না। তাই কেউ যেন বিজেপিকে ভোট না দেয় সেই বার্তা ফের একবার দিলেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে তাঁর স্পষ্ট কথা, বাংলায় বাঙালি থাকবে, কোন বহিরাগত আসবে না। বাংলা বিজেপির ঘর নয় বলে স্পষ্ট করেন তিনি। এর পাশাপাশি মমতার বক্তব্য, ইভিএম মেশিনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কেউ যদি হঠাৎ এসে বলে মেশিন খারাপ তাহলে সতর্ক থাকতে হবে। ভোট বাক্স নিজেদের পাহারা দিতে হবে, কেন্দ্রীয় বাহিনী যাই বলুক না কেন। একইসঙ্গে বিজেপিকে এক হাত নিয়ে তিনি বলেন, যত গদ্দার এবং মীরজাফর এখন বিজেপির প্রার্থী হয়েছে। তাই বিজেপিকে কোন ভাবে ভোট দেওয়া যাবে না। মমতার বক্তব্য, বিজেপিকে ভোট দেওয়া মানে সর্বনাশ ডেকে আনা, বাংলার বিসর্জন দিয়ে দেওয়া। আর তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে শুধু উন্নয়ন।
আরও পড়ুন: গেরুয়া সমর্থকদের প্রার্থী ক্ষোভ! বালিতে বৈশালীকে নিয়ে অন্য ছবি
এই পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা আগত সকলের কাছে অনুরোধের সুরে বলেছেন, যদি সকলে চান যে তিনি ক্ষমতায় থাকুন তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিতে হবে। কারণ এই বিজেপি সরকার পেট্রোপণ্যের দাম থেকে শুরু করে রান্নার গ্যাস সবার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষকে চরম সংকটে ফেলেছে এই সরকার বলে দাবি করেন তিনি। তবে আরো স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, যারা এখনো স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পাননি তারা নির্বাচনের পরে দরখাস্ত করলে পেয়ে যাবেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে দুয়ারের সরকারি প্রকল্পে ঘরে ঘরে উন্নয়ন পৌঁছাবে, একইসঙ্গে রেশন দোকানে আর যেতে হবে না, সেটাও দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাবে।