সিপিএম মাথা ভেঙে চৌচির করে দিয়েছিল! খুনের ষড়যন্ত্রের কথাও মনে করালেন মমতা

সিপিএম মাথা ভেঙে চৌচির করে দিয়েছিল! খুনের ষড়যন্ত্রের কথাও মনে করালেন মমতা

বড়োজোড়া: নন্দীগ্রামে পায়ে আঘাত পাওয়ার পর বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছিলেন। এখন হুইল চেয়ারে প্রচার করতে করতে বারবার বারবার অতীতের প্রসঙ্গ টেনে তুলছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপিএম তাঁকে মেরেছিল, আর এখন বিজেপি মারছে, এই মন্তব্য আগেও করতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। আজকের বাঁকুড়ার জনসভা থেকে তিনি ফের একবার খুনের ষড়যন্ত্রের প্রসঙ্গ তুললেন। আঙুল অবশ্যই সিপিএমের দিকে। মমতা জানালেন, তাঁকে নর্দমায় ফেলে খুন করার চেষ্টা হয়েছিল। 

এদিনের সভায় অতীতের কথা টেনে তিনি মন্তব্য করলেন,”সিপিএম আমাকে অনেক মেরেছিল। আমার মাথা ভেঙে চৌচির করে দিয়েছিল। আমাকে ব্রেন অপারেশন করাতে হয়েছিল। আমাকে ওরা নর্দমায় ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করেছিল।” এর পাশাপাশি তাঁর দুটো চোখ অপারেশন করতে হয়েছিল বলেও এদিন জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে গার্ডেন রিচ প্রসঙ্গে কথা শুরু করেন তিনি। সেখানে তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরার ঘটনা থেকে শুরু করে গুলি চালানোর ঘটনা, সেখানে তাঁর মাথায় গুলি লাগতে পারত বলে এদিন জানান তিনি। মমতার দাবি, একজন তাঁর সামনে হাত রাখায় সেই গুলি তার হাতে লাগে, সেইদিন তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন এই কারণে। সেদিন মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন বলে স্মৃতিচারণ করেছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। 

আরও পড়ুন-  ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্পের ব্যাখায় মমতা! বাড়ি বাড়ি পাইপ লাইনে পৌঁছে যাবে জল

এদিকে, তাঁর পায়ের চোট যে কতটা গুরুতর, এদিন বাঁকুড়ার সভা মঞ্চ থেকে আরো একবার সেকথাই শোনালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পায়ের গোড়ালি ঘষে গিয়ে ধসে গেছে, এমনকি ছিঁড়ে গেছে শিরাও, দলীয় সভা থেকে এদিন এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, “গোড়ালির কাছে যে অ্যাঙ্কেলটা আছে, সেটা পুরো ঘষে গিয়ে ধসে গেছে। উপরটা এমন ভাবে কেটে গেছে যে শিরাগুলো পর্যন্ত ছিঁড়ে গেছে।” ডাক্তাররা টানা ১৫ দিন বিছানায় শুয়ে থাকার পরামর্শ দিলেও ভোটের আগে তা মেনে চলা তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না বলেই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি আরো বলেন, “আমাকে আগেও অনেকবার মেরেছে। কিন্তু এবারে আমার পা টা এভাবে চোট পেয়ে যাবে আমি বুঝতে পারিনি। আমার আর উপায় নেই।”  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *