কলকাতা: পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে দেশজুড়ে হইহই হয়েছে কিছু দিন আগে পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিরোধীরা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও অন্যান্য বিরোধীদের মত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। সেই পেগাসাস নিয়ে আজ বড় আশঙ্কা প্রকাশ করলেন ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসভা করে তিনি বললেন, এমন কিছু নেই যা বিজেপি করতে পারে না।
আরও পড়ুন- তৃণমূলের ‘মিশন গোয়া’ শুরু, ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যে দুই সাংসদ
পেগাসাস ইস্যুতে মমতা এদিন বলেন, ”আমার আর আপনার ফোন সব পেগাসাসে চলে গেছে। পেগাসাস মানে ডেঞ্জারাস, আপনি বউয়ের সঙ্গে কী কথা বলছেন, শুধু কথা বলা নয়, ধরুন আমি বাড়িতে বসে চা খাচ্ছি, সেটাও ফোন থেকে ছবি তুলে নিচ্ছে।” তিনি সকলকে বলেন, ”একদিন আমি, পিকে (পড়ুনঃ প্রশান্ত কিশোর) আর অভিষেক কালীঘাটের অফিসে বসে কথা বলছিলাম। পিকে আর অভিষেকের ফোন সব ট্যাপ করা ছিল। আমার ফোনে একই রকম জিনিস করা ছিল কারণ আমি ওদের সঙ্গে কথা বলি। একটা ফোন ট্যাপ করলেই হাজারটা ফোন ট্যাপ করা যায়।” এরপরই মমতা প্রত্যেককে সতর্ক করে বলেন, তিনজনে বসে কী কথা বলছে সেটাও ফোনের ক্যামেরা থেকে তুলে নিয়েছে। এখন ফেসটাইম থেকে শুরু করে হোয়াট্সঅ্যাপ কোন কিছুই নিরাপদ নয় কারণ আঁধারের মতো স্ক্যান করে সব তথ্য হাসিল করে নিচ্ছে ওরা। এমনকি ফোন সুইচ অফ করে রাখলেও সেই তথ্য বাইরে চলে যাচ্ছে। মমতার আশঙ্কা, পরবর্তী ক্ষেত্রে মানুষ কী ভাবছে সেটা হয়তো ব্রেন থেকে বের করে নিতে পারবে। তাঁর দাবি, বিজেপি করতে পারে না এমন কোন কাজ নেই।
আরও পড়ুন- ভারত সরকারের তহবিলই নয় ‘পিএম কেয়ার্স’ ফান্ড! স্পষ্ট জানাল কেন্দ্র
উল্লেখ্য, ‘পেগাসাস’ হচ্ছে ইজরায়েলী সংস্থা এনএসও-র তৈরি একটি সফটওয়্যার যার মাধ্যমে ফোনে আড়ি পাতা যায় বা ফোন হ্যাক করা যায়। এই প্রজুক্তি ব্যবহার করে সহজেই যে কোনও ফোনের সমস্ত তথ্য হাতিয়ে দেওয়া সম্ভব। তবে অবশ্যই ফোনটি স্মার্টফোন হতে হবে। এর মাধ্যমে ফোনের ভয়েস কল ও হোয়াটসঅ্যাপ ডেটা-সহ সমস্ত তথ্য কয়েক মিনিটের মধ্যে হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব। সবথেকে আতঙ্কের বিষয়, গোটা প্রক্রিয়াটি এতটাই গোপনে হয় যে, ব্যবহারকারী কোনও রকম আন্দাজ পায় না যে তাঁর ফোনের সঙ্গে কী হচ্ছে।