কলকাতা: ২০০ আসনের লক্ষ্যে বাংলার বিধানসভায় ঝাঁপিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। কার্যত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার প্রত্যেক সদস্য বাংলায় প্রচার করতে এসেছিল। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাসে একাধিকবার রাজ্যে বিজেপির হয়ে প্রচারে এসেছেন। কিন্তু অবশেষে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে তেমন কিছুই করতে পারেনি বিজেপি। ৭৭ আসন পেয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তাদের। কিন্তু বিজেপির আসল পরিকল্পনা কি নির্বাচনে জেতা ছিল? যদি না হয় তাহলে তাদের পরিকল্পনা কী ছিল? সেটাই এদিন ভবানীপুরে প্রচারে বেরিয়ে খোলসা করলেন তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- খরচ কোটিতে! উপনির্বাচনের ব্যয় নিয়ে আদালতে প্রশ্নের মুখে কমিশন
মমতা জানান, বিজেপির আসল পরিকল্পনা ছিল তাঁকে শারীরিকভাবে আঘাত দেওয়া। যাতে কোনও ভাবে তিনি প্রচার না করতে পারেন। সেই চেষ্টাই নন্দীগ্রামে করা হয়েছিল বলে তিনি দাবি করেছেন। মমতার কথায়, বিজেপি জানে যে তিনি মাথানত করেন না এবং তাদের কাছে মাথানত করবেন না। অন্যদের সঙ্গে বোঝাপড়া করা গেলেও তাঁর সঙ্গে বিজেপি বোঝাপড়া করতে পারবে না। সেই কারণেই তিনি যাতে প্রচার না করতে পারেন তার পরিকল্পনা করেছিল বিজেপি। যদিও মমতা জানাচ্ছেন, পায়ে আঘাত দেওয়ার পরেও তিনি হুইলচেয়ারে করে গোটা রাজ্যে ঘুরেছেন। তিনি বিজেপির কাছে মাথা নত করেননি। পুলিশ বন্ধুদের সাহায্যে তিনি জেলায় জেলায় ঘুরে কমপক্ষে ১৫০ জনসভা করেছেন বলেও এদিন জানিয়েছেন মমতা। তিনি স্পষ্ট বলছেন, যেনতেনপ্রকারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে হবে, এটাই ছিল বিজেপির মূল লক্ষ্য। এই প্রসঙ্গে বিজেপির নেতারা ডেলি প্যাসেঞ্জারি করতেও ছাড়েননি বলে কটাক্ষ করতে বাকি রাখেননি ভবানীপুরের ঘাসফুল প্রার্থী।
আরও পড়ুন- পরিবেশ বাঁচানোর দাবিতে ধর্মঘট! কুর্নিশ পরিবেশকর্মীদের
অন্যদিকে, নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গে মুখ খুলে তিনি আজও বলেন, ঝুঁকি নিয়ে তিনি নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন কিন্তু এটা বুঝতে পারেননি যে কেন্দ্রীয় এজেন্সি থেকে শুরু করে, ভোটের মেশিন থেকে শুরু করে, বন্দুক থেকে শুরু করে সবকিছু এই ভাবে ব্যবহার করা যায়। মমতা এও বলেন, নির্বাচনের পর সঙ্গে সঙ্গে উপনির্বাচনের দাবি করা হয়েছিল কিন্তু শোনা হয়নি। এমনকি ভিভিপ্যাট ঠিকভাবে গুনতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, কোথাও দেখা গেছে যে, ৫০০ জন ভোটার রয়েছে কিন্তু ভোট পড়েছে ১,০০০! সেখানে নানা রকম কীর্তি এবং কেলেঙ্কারি হয়েছে।