কলকাতা: বিজেপি শিবির একাধিকবার তালিবানের সঙ্গে তুলনা করেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলকে। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে বর্তমান সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, এছাড়াও অন্য নেতারা বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন এই ইস্যুতে। দিলীপ এবং সুকান্ত তো স্পষ্টই দাবি করেছেন যে, বাংলায় তালিবানি সরকার চলছে, সবাই তালিবানি মানসিকতার লোক। তবে এবার এই ইস্যুতে মুখ খুল পালটা বিজেপিকেই তোপ দাগলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, দেশকে তালিবান বানাতে দেবেন না তিনি।
আরও পড়ুন- পরিবেশ বাঁচানোর দাবিতে ধর্মঘট! কুর্নিশ পরিবেশকর্মীদের
ভবানীপুরে নির্বাচনী জনসভা করে মমতা এদিন বলেন, তিনি যদি না জেতেন তাহলে উন্নয়নের গতি আটকে যাবে। বাংলা থেকে এই গতি দেশের সব জায়গায় পৌঁছে দিতে হবে। আগামী দিনে দেশের হয়ে লড়তে হবে, যাতে দেশের স্বাধীনতা না চলে যায়। এই প্রেক্ষিতেই মমতার কথা, তিনি ভারতবর্ষকে তালিবান বানাতে দেবেন না। তিনি দাবি করেন, উত্তরপ্রদেশ থেকে শুরু করে অসম, ত্রিপুরা কোথাও একজন সাংবাদিক ঠিকমত কথা বলতে পারে না ভয়ে। তালিবানি কায়দায় সরকার চালাচ্ছে বিজেপি। তিনি বা তাঁর দল চায় না যে গোটা দেশ তালিবানদের দখলে চলে যায়। মমতা কথায়, ”ভারতবর্ষ, হিন্দুস্থান থাকবে, ভবানীপুর থেকে ভারতবর্ষ… সারে জাহা সে আচ্ছা, হিন্দুস্থান হামারা।” এর পাশাপাশি বিজেপিকে একহাত নিয়ে একটি পংতি ব্যবহার করেন তিনি। ”চলবে না অন্যায়, টিকবে না ফন্দি, জনগণের আদালতে হতে হবে বন্দি”।
আরও পড়ুন- খরচ কোটিতে! উপনির্বাচনের ব্যয় নিয়ে আদালতে প্রশ্নের মুখে কমিশন
এছাড়া এদিন তিনি আরও বলেন, বিজেপির আসল পরিকল্পনা ছিল তাঁকে শারীরিকভাবে আঘাত দেওয়া। যাতে কোনও ভাবে তিনি প্রচার না করতে পারেন। সেই চেষ্টাই নন্দীগ্রামে করা হয়েছিল বলে তিনি দাবি করেছেন। মমতার কথায়, বিজেপি জানে যে তিনি মাথানত করেন না এবং তাদের কাছে মাথানত করবেন না। অন্যদের সঙ্গে বোঝাপড়া করা গেলেও তাঁর সঙ্গে বিজেপি বোঝাপড়া করতে পারবে না। সেই কারণেই তিনি যাতে প্রচার না করতে পারেন তার পরিকল্পনা করেছিল বিজেপি।