বর্ধমান: সম্প্রতি ঘোষিত হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট। প্রথম থেকেই এই বাজেট নিয়ে তোপ দেগে এসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দাবি করেছিলেন যে, এই বাজেট লোক দেখানো, আসলে মধ্যবিত্ত এবং বেকারদের জন্য কিছুই বলা হয়নি। তবে আজ আরও বড় মন্তব্য করলেন তিনি। বর্ধমানের সভা থেকে তাঁর দাবি, বাজেটের দিনই সরকার পড়ে যাচ্ছিল, ফোন করে করে টাকার ব্যবস্থা করা হয়! তবে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে তিনি আদতে কোন প্রসঙ্গ টানলেন তা স্পষ্টভাবে বোঝা না গেলেও আন্দাজ করা কঠিন নয়।
আরও পড়ুন- নির্দেশ মেনে তিনজনের নাম প্রস্তাব সিবিআইয়ের, বিচারপতি তদন্ত নিয়ে এখনও অসন্তুষ্ট
কিছুদিন আগেই আমেরিকার লগ্নি সংক্রান্ত গবেষণাকারী সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ভারতের আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে। দাবি করা হয়েছে যে আদানি গোষ্ঠী কারচুপি করে নিজেদের শেয়ার বাড়িয়েছে। তা নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে দেশে। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকে ক্রমাগত শেয়ার বাজারে ধাক্কা খাচ্ছে আদানি গোষ্ঠী। এই আবহেই এদিন মমতার বক্তব্য, বাজেট পেশের দিন প্রায় সরকার পড়ে যাচ্ছিল। শেয়ার বাজারে ধস নেমেছিল। যাদের শেয়ারের দাম কমছিল তাদেরকে টাকা দিতে বলা হয়েছিল ফোন করে। তিনি আরও দাবি করেন, ৬-৭ জনকে ফোন করে টাকা চাওয়া হয়েছে। কারোর কাছে ২০ হাজার কোটি তো কারোর কাছে আরও বেশি।
বাজেট পেশের দিনই এই বাজেটকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, গরিব মানুষের কোনও উপকার হবে না এই বাজেট থেকে। কারণ এই বাজেটে দরিদ্র বঞ্চিত এবং মাত্র একাংশ লাভবান হয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তিনি থাকলে গরিব এবং সাধারণ মানুষের স্বার্থের বাজেট আধ ঘণ্টায় করে দিতেন। মমতার তোপ ছিল, এই বাজেট নট ফিউচারাস্টিক, অপরচুনিস্টিক।