কলকাতা: বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সেই পরাজয় নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই কারণ বিজেপির বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন এবং হয়েছেন। আজ হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানি ছিল কিন্তু সেই মামলার শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য এক কারণে মামলা পিছিয়ে গেলেও যে বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলা রয়েছে তাঁকে নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী। সেই প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখে তিনি মামলা অন্য বেঞ্চের সরানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।
নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে রয়েছে। কিন্তু দাবি করা হচ্ছে যে তিনি এক সময় সক্রিয় বিজেপি সদস্য ছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে দিলীপ ঘোষের একটি ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষের টুইটের কারণে। এই কারণেই এই মামলা তার বেঞ্চ থেকে সরানোর আর্জি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী। চিঠি লিখে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, নন্দীগ্রাম মামলায় বিচারপতি রয়েছেন তাঁর সঙ্গে একটি রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক ছিল ফলে তিনি নিরপেক্ষ নাও হতে পারেন। সেই কারণেই মামলা অন্য বেঞ্চে সরানো হোক।
আরও পড়ুন- জুলাইয়ের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা, মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক প্রসঙ্গে মমতা
আজ নির্ধারিত সময়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল। কিন্তু জনপ্রতিনিধি আইন অনুযায়ী এসব মামলার শুনানির সময় আবেদনকারীর আদালতে উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু এই মামলার আবেদনকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন না আদালতে। সেই কারণেই মামলা এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আগামী ২৪ জুন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি নির্ধারিত হয়েছে। আইনজীবীদের একাংশ দাবি করেছে, এই মামলাটির বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র একসময় কোনও একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন। সেই কারণেই হয়তো এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷