রিগিংয়ের কুইন মমতা, আমার কাছে বড় প্রার্থী নয়! চরম আত্মবিশ্বাসী শুভেন্দু

রিগিংয়ের কুইন মমতা, আমার কাছে বড় প্রার্থী নয়! চরম আত্মবিশ্বাসী শুভেন্দু

কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন যত এগিয়ে আসছে রাজনৈতিক উত্তাপ আরো বেশি বাড়ছে স্বাভাবিকভাবেই। একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝও বাড়ছে প্রতি মুহূর্তে। এদিন তিনটি জনসভা করে বিজেপি সরকারকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্তব্য করেছেন যে, বিজেপি ভোট লুট করতে পারে তাই সতর্ক থাকতে হবে সকলকে। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চরম কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, যিনি রিগিংয়ের কুইন, তিনি ভোট লুটের কথা বলছেন! এর পাশাপাশি শুভেন্দু দাবি করেন, বাংলায় প্রশাসনের অপব্যবহার করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য পুলিশ তাঁর ইশারায় কাজ করছে। 

এদিন পটাশপুরের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, বাংলায় ভোট লুট করতে পারে বিজেপি, টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করবে তারা। তাই ইভিএম মেশিনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং সেটা নিজেদেরকেই পাহারা দিতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কার্যত তাকে আক্রমণ করে শুভেন্দু মন্তব্য করেছেন, যিনি ভোট লুটের কথা বলছেন তিনি নিজের রিগিং কুইন। তাঁর শাসনে রাজ্যের পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে এবং প্রশাসনের অপব্যবহার করছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দুর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে গিয়েছেন যে এবার ভোট গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হবে, তাই তিনি ভয় পাচ্ছেন। সাধারণ মানুষ বিজেপির সঙ্গে আছেন এবং আগামী ২ মে সেটা প্রমাণিত হবে বলে আত্মবিশ্বাসী শুভেন্দু অধিকারী। এদিকে নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেছেন, মমতা তাঁর কাছে বড় প্রার্থী নয়! তিনি নন্দীগ্রামে তাঁকে অবশ্যই হারাবেন, এতে চিন্তার কোন কারণ নেই। 

আরও পড়ুন: টেরর-মার্ডার-কোরাপশন! তৃণমূলের নতুন নামকরণ করলেন শিবরাজ

মমতার বক্তব্য, ইভিএম মেশিনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কেউ যদি হঠাৎ এসে বলে মেশিন খারাপ তাহলে সতর্ক থাকতে হবে। ভোট বাক্স নিজেদের পাহারা দিতে হবে, কেন্দ্রীয় বাহিনী যাই বলুক না কেন। একইসঙ্গে বিজেপিকে এক হাত নিয়ে তিনি বলেন, যত গদ্দার এবং মীরজাফর এখন বিজেপির প্রার্থী হয়েছে। তাই বিজেপিকে কোন ভাবে ভোট দেওয়া যাবে না। মমতার বক্তব্য, বিজেপিকে ভোট দেওয়া মানে সর্বনাশ ডেকে আনা, বাংলার বিসর্জন দিয়ে দেওয়া। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *