কলকাতা: ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের যে নেতারা আক্রান্ত হয়েছিল তারা এখন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসার জন্য। এদিন ফের তাদেরকে হাসপাতালে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে নিজের চোট লাগা পায়ের স্ক্যান করিয়েছেন বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে বলেন, সুদীপের শরীর আগের থেকে একটু খারাপ হয়েছে।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে নন্দীগ্রামে নমিনেশন জমা দেওয়ার দিন পায়ে চোট পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জখম অবস্থায় নন্দীগ্রাম থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে তাঁর পায়ে প্লাস্টার পড়েছিল। গোটা নির্বাচনে তিনি হুইল চেয়ারে করে প্রচার করেছিলেন এবং ফল প্রকাশের পরে তাঁর পায়ের প্লাস্টার কাটা হয়। সেই চোট লাগা পায়ের স্ক্যান করাতে এসএসকেএম-এ আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমে বলেন, ত্রিপুরায় আক্রান্তদের দেখতে তিনি এসেছিলেন এবং সেই সঙ্গে নিজের পাটাও একবার দেখানোর ছিল। তাই স্ক্যান করিয়ে নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, মমতার এই চোট লাগা নিয়ে কম হুলস্থুল হয়নি গোটা রাজ্যে। বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে তিনি নাটক করছেন, অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন যে ষড়যন্ত্র করে তাঁকে ধাক্কা মারা হয়েছিল। সেই সময়ে বিজেপি তো বটেই নির্বাচন কমিশনের দিকে আঙ্গুল তোলা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে।
আরও পড়ুন- ‘মূর্খের অশেষ দোষ’, দিলীপের ভুলে ভরা বানানের প্ল্যাকার্ড নিয়ে খোঁচা তথাগতর
এদিকে বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পর ত্রিপুরায় নিজেদের দলের সংগঠন আরো মজবুত করতে সেখানে কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন দেবাংশু, সুদীপরা। সেখানে তাদের আক্রান্ত হতে হয়েছে এবং গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরবর্তী ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহ কুনাল ঘোষ, দোলা সেনরা সেখানে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। পরে তারা সকলে জামিনে মুক্ত হন এবং কলকাতায় এসে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আহতরা।